এবার ভারতের ভবিষ্যৎ পাল্টে দিতে চলেছে টাটা গ্রূপ! নতুন উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নামছে সংস্থা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অন্যতম একজন শিল্পপতি হলেন রতন টাটা। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রূপ একের পর এক সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে। পাশাপাশি, সেই রেশ বজায় রয়েছে এখনও। তবে, আমরা সকলেই জানি যে, রতন টাটার অনুরাগীর সংখ্যাও দেশজুড়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁর জনদরদী মানকসিকতার পাশাপাশি তাঁকে যে কোনো বিপদেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে আমরা সকলেই দেখেছি।

এমতাবস্থায়, রতন টাটার উদ্যোগে এবার আমাদের দেশে আরও একটি বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার প্রত্যক্ষ সুফল লাভ করবেন সমগ্ৰ দেশবাসী। জানা গিয়েছে যে, এবার রতন টাটা এবং বিদেশের এক কোম্পানি মিলে ভারতবর্ষে আনতে চলেছেন নতুন একটি ব্যাটারি কোম্পানি। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাটারির বাজারে এবার প্রতিবেশী দেশ চিনকেও কড়া টক্কর দিতে পারবে ভারত।

শুধু তাই নয়, সারা পৃথিবীতে এতদিন ধরে ব্যাটারির মার্কেটে কার্যত চিনেরই আধিপত্য বজায় ছিল। কিন্তু এবার সেই বাজারে কোমর বেঁধে নামছে টাটা গ্রূপও। এই প্রসঙ্গে বুধবার টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে, টাটা স্কাই এখন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ওপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে চাইছে। এছাড়াও, টাটা গ্রুপ এবার সমস্ত ব্যবসায়িক দিকেও পরিবর্তন আনতে চাইছে। যার মধ্যে রয়েছে টাটা মোটরস এবং ব্রিটিশ বিলাসবহুল ইউনিট জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার।

এমতাবস্থায়, ভারতবর্ষকে প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে এগোনো হলেও পরবর্তীকালে এই ব্যাটারি কোম্পানি নিজেদের পণ্য সারা ভারতবর্ষে রপ্তানি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান সময়ে জলবায়ু যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে মানুষের জীবনযাত্রাও অনেকাংশে পরিবর্তিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়তই চাহিদার মধ্যেও সেই পরিবর্তন ক্রমশ পরিলক্ষিত হচ্ছে এখন। এমতাবস্থায়, শীঘ্রই টাটা গ্রুপ কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করতে চলেছে। আর তার ফলেই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, হাইড্রোজেন, স্টোরেজ সমাধান সহ একাধিক অংশে বিনিয়োগ করে একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা গঠন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা বিশ্বের ব্যাটারির বাজারে কার্যত “রাজ” করছে চিন। এমনকি, ভারতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় তার সমস্ত বাজার রয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের হাতেই। এমতাবস্থায়, টাটার মত বড় কোম্পানির এহেন পদক্ষেপে দেশীয় বাজার চিনা ব্যাটারির হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়লেও চিনের ওপর কোনোরকম ভরসা করতে হবে না ভারতকে।

111123054027 ratan tata

এদিকে, ইতিমধ্যেই ভারতের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা হিসেবে নিজের স্থান পাকা করেছে টাটা মোটরস। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দশটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল লঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই আপাতত ঝড়ের গতিতে চলছে কাজ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর