‘মন্দিরের প্রতিমা শিশু সমান, তাঁর সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের” বড় সিদ্ধান্ত মাদ্রাস হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাদ্রাস হাইকোর্ট (Madras High Court) জানিয়েছে যে, মন্দিরের প্রতিমা একটি শিশুর মতন হয়, আর মন্দিরের সম্পত্তির সুরক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিচারক RMT টীকা রমন তামিলনাড়ুর পলানি মন্দিরের জমি বেদখল করার নির্দেশ জারি করেছেন। বলে দিই, সেখানে কয়েকটি পরিবার বেশ কিছু বছর ধরে মন্দিরের জমিতে কবজা করে বসে আছে।

মাদ্রাস হাইকোর্ট বলেছে, ‘আইনত দিক থেকে মন্দিরের প্রতিমা নাবালিকা বাচ্চার মতো হয়। আদালত সেই নাবালিকা বাচ্চা আর তাঁর সম্পত্তির অভিভাবক। যেমন ভাবে নাবালিকা বাচ্চাদের রক্ষা করা হয়, তেমন ভাবেই আদালতের মন্দিরের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে।” আদালত এও জানায় যে, অভিযুক্ত ৬০ বছর ধরে মন্দিরের সম্পত্তির ব্যবহার করেছে।

যেই সম্পত্তি নিয়ে মাদ্রাস হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে, সেই সম্পত্তিটি পুরস্কার হিসেবে ইংরেজরা ১৮৬৩ সালে কয়েকজন মানুষকে দান করেছিল। আরেকদিকে, অভিযুক্ত পক্ষ জানায় তাঁরা কয়েক দশক ধরে ওই জমিতে বসবাস করছে, এই কারণে ওই জমি তাঁদেরও। এরপরই আদালত তাঁদের এই বলে ভর্ৎসনা করে যে, তাঁরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে মাসিক ভাড়া দিয়েছে বলে সেই জমি তাঁদের হয়ে যাবে সেটার কোনও মানে হয়না। তাঁরা ভাড়াটে ছিল, মালিক না।

আদালত ওই মন্দিরের সম্পত্তিতে কারও মালিকানা হকের দাবি করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তামিলনাড়ুতে ‘পুরষ্কার বিলুপ্তি আইন’ও এসেছিল, কিন্তু এর আওতায়, তহসিলদার পর্যায়ে চুক্তির পরে এই লোকেরা মন্দিরের সম্পত্তিতে দখল করে বসবাস করতে থাকে। যেহেতু জমির মালিকানা হকের দাবি করা মানুষরা গুন্ডা প্রকৃতির এবং এর জন্য তাঁরা বিভিন্ন সন্দেহজনক উপায় ব্যবহার করছিল, তাই মাদ্রাজ হাইকোর্ট আধিকারিকদের মন্দিরের সম্পত্তিটি ৪ সপ্তাহের মধ্যে খালি করানোর নির্দেশ দিয়েছে।

মন্দিরের জমি দখল মুক্ত করার প্রক্রিয়ায় কমিশনারকে নজরদারি করতে বলা হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। এই জমি মোট ৬০.৪৩ একরের ছিল। জমিটি তামিলনাড়ুর পেরিয়াকুমারপলয়ম গ্রামে রয়েছে। ওই সম্পত্তিটিকে আদালত দেবতা মুরগন স্বামীর বলে গণ্য করেছে। এই মন্দিরটি তামিলনাড়ুর সবথেকে প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে একটি।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর