ভয়াবহ অবস্থা: তামিলনাড়ুর কোয়মবেদু বাজারে একসঙ্গে করোনায় সংক্রমিত ২৬০০ জন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাজারের ভিড় এবং করোনাভাইরাসের কম্বিনেশন যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা ফের একবার হাতে গরম প্রমাণ পাওয়া গেল। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) একটি পাইকারি বাজারের সবাইকে টেস্ট করার পর ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আরও অনেকের টেস্টের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। তাতে সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তা কার্যত এককথায় নিশ্চিত।

কোয়মবেদু তামিলনাড়ুর বৃহত্তম পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন এই বাজারে। সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এই বাজারেও। সামাজিক দূরত্বের কথা বারবার বলা সত্ত্বেও কার্যত সেসব উপেক্ষা করে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এখানে। বাজার করে গেছেন। দিনের পর দিন। স্বাভাবিকভাবেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তীব্র হয় এখানে। দেরি না করে বাজারে আসা সমস্ত মানুষের করোনার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেই টেস্টের রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের।

স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক জে রাধাকৃষ্ণন (J. Radhakrishnan)  জানিয়েছেন সব মিলিয়ে টেস্ট হয়েছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের। এদের মধ্যে দোকানদার-খরিদ্দার এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ!

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে তামিলনাড়ুতে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২৭। মৃতের সংখ্যা ৬৪। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১৭৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় তামিলনাড়ু দেশের মধ্যে বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

চেন্নাই শহরের অদূরে কোয়মবেদু তামিলনাড়ুর বৃহত্তম পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে বাজারে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর অন্যান্য এলাকার মতো এই বাজারেও জারি হয়েছিল সতর্কতা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করার কথা বলেছিল প্রশাসন। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই দিনের পর দিন চলেছে এই বাজার। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা তীব্র হয়। তাই বাজারে আসা সমস্ত মানুষের করোনার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার পরেই মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের।

স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক জে রাধাকৃষ্ণন জানিয়েছেন, ‘‘বাজারের দোকানদার-খরিদ্দার এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। সব মিলিয়ে টেস্ট করা হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার জনের।’’ তিনি আরও বলেন, বস্তি ও ঘনবসতি এলাকায় সংক্রমণ শৃঙ্খল আটকানোই এখন প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন রাধাকৃষ্ণন।

সম্পর্কিত খবর