বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (INDIA) শুক্রবার অ্যান্টি শিপ মিসাইলের (Anti-ship missile) সফল পরীক্ষণ করল। নৌসেনা কর্বেট INS প্রবল থেকে মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছিল। এই মিসাইল লঞ্চের একটি ভিডিও (Video) শেয়ার করেছে ভারতীয় সেনা, যেখানে আইএনএস প্রবল থেকে মিসাইল লঞ্চিংয়ের সম্পূর্ণ দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এই মিসাইল সটিক নিশানা লাগিয়ে একটি জাহাজকে ডুবিয়ে দেয়। তথ্য অনুযায়ী, INS প্রবল প্রশিক্ষণে অ্যান্টি শিপ মিসাইল লঞ্চ করেছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, মিসাইল যেই বস্তুটিকে নিশানা করেছিল, সেটি সমুদ্রে ডুবে যায়।
The anti-ship missile (AShM) launched by Indian Navy Missile Corvette #INSPrabal, homes on with deadly accuracy at max range, sinking target ship: Indian Navy pic.twitter.com/kXOQceSaNO
— ANI (@ANI) October 23, 2020
এই মিসাইল আরব সাগরে লঞ্চ করা হয়েছিল। এই মিসাইলের লক্ষ্য ছিল একটি পুরনো জাহাজ। ওই জাহাজটিকে এর আগেই ডিকমিশন করা হয়েছিল। এই অ্যান্টি শিপ মিসাইল অধিকতম দূরত্বে নিখুঁত হামলা করতে সক্ষম। চীনের সাথে লাদাখে সীমান্ত নিয়ে চলা উত্তেজনার মাঝে এই মিসাইলের টেস্টিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মানা হচ্ছে।
আরেকদিকে, গতকাল সমুদ্রের বাহুবলি নামে পরিচিত INS Kavaratti ভারতীয় নৌসেনায় (Indian Navy) যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবানে আইএনএস কাভারতী ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, ‘অ্যান্টি সাবমেরিন প্রণালী যুক্ত এই স্বদেশী রণতরী আইএনএস কাভারতী অনেক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি স্টিলথ ওয়ারশিপ। শত্রুদের র্যাডারে ধরা পড়বে না এই রণতরী। এর ডিজাইন ডায়রেক্টর অফ নেভাল ডিজাইন প্রস্তুত করেছে, আর এটিকে কলকাতার গার্ডেন শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স তৈরি করেছে।”
উনি আরও বলেন, এই রণতরীতে ৯০ শতাংশ স্বদেশী উপকরণ লাগানো হয়েছে। এই রণতরীতে এমন সেন্সর লাগানো আছে, যেটি শত্রু পক্ষের সাবমেরিনকে খুঁজে সেটির পিছু নিতেও সক্ষম। এর সাথে সাথে এটি শত্রুদের র্যাডারেও ধরা পড়বে না।
আইএনএস কাভারতীর নাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা রণতরী আইএনএস কাভারতীর নামে রাখা হয়েছে। এই রণতরী ১০৯ মিটার দীর্ঘ আর ১২.৮ মিটার প্রস্থ। এই রণতরীতে 4B ডিজেল ইঞ্জিন আছে। এর ওজন ৩ হাজার ২৫০ টন। নৌসেনায় এই রণতরী যুক্ত হওয়ায় ভারতীয় নৌসেনার শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে। কারণ এটি পরমাণু, রাসায়নিক আর জৈবিক পরিস্থিতিতেও কাজ করতে সক্ষম।