করোনা আবহে লেনদেনের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের

ভারতে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ধীরে ধীরে বাড়ছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০। এর মাধ্যমে, দেশে মোট করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস এর কারণে ইতিমধ্যে সংকটে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। আজ থেকে গোটা দেশেই লকডাউন করার সিদ্ধান্ত বলবত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান পরিস্থিতি বিচারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আগামী তিন মাসে দেশের যেকোনো জায়গার যেকোনো এটিএম থেকে যতবার খুশি টাকা তুললে কোনরকম ফি বা চার্জ কাটা হবে না।

বর্তমান নিয়ম অনুসারে, ব্যাংক গ্রাহককে প্রতি মাসে বিনামূল্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লেনদেন সরবরাহ করে। এটিএমটি হোম ব্যাংকের এটিএমের অংশ কিনা এবং এর অবস্থান নির্ভর করে এ জাতীয় লেনদেনের সংখ্যা নির্ভর করে। বেশিরভাগ ব্যাংক মেট্রো শহরে অবস্থিত তার নিজস্ব এটিএমগুলিতে পাঁচটি পর্যন্ত লেনদেন করার ক্ষেত্রে কোনো চার্জ কাটে না।

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সিতারামান মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ ও শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে একাধিক জরুরী ঘোষণা করে কিছুটা স্বস্তি দিলেন
২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন। দেরি হলে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯% হারে দিতে হবে।

আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্তিকরণের সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৩০ জুন।

টিডিএস রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন না বদলালেও টিডিএস দেরি কই জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের ১৮ শতাংশ সুদ কমিয়ে করা হয়েছে ৯ শতাংশ।

৫ কোটি টাকার কম বার্ষিক লেনদেন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে সুদ দিতে হলেও দিতে হবেনা লেট ফি।

বর্তমানে নতুন সংস্থার নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র দিলেই হবে। আগে যা ছিল ৬ মাস

মার্চ-এপ্রিল-মে জিএসটি জমা দেওয়ার সময়সীমা বেড়ে হয়েছে ৩০ জুন।

সম্পর্কিত খবর