দিল্লিতে মৃত সাদা বাঘিনীর করোনা হয়নি, জানাল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লির (Delhi) চিড়িয়াখানায় মৃত্যু হয়েছিল সাদা বাঘিনী কল্পনার (kalpana)। মৃত্যুর পর তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল কোভিড টেস্টের জন্য। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কল্পনার রিপোর্ট এসেছে কোভিড নেগেটিভ। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়নি এই বাঘিনী। তারা আরও জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে এবং কিডনি বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে ১৪ বছরের কল্পনার। এই সাদা বাঘিনীর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।

   

 

বুধবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মারা যায় কল্পনা। বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয় তার সৎকারের। সরকারের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুযায়ী কল্পনার শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন চিড়িয়াখানার কর্মী।

ক’দিন আগেই মার্কিন মুলুকে এক বাঘিনীর করোনার সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এক্ষেত্রেও কল্পনা করোনা আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তা জানতে তার মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরিবেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য বরেলিতে ইন্ডিয়ান ভেটেরেনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয় বাঘিনীর নমুনা। সেই পরীক্ষারই রিপোর্ট এসেছে শনিবার, যার থেকে জানা গিয়েছে যে এই সাদা বাঘিনী করোনায় আক্রান্ত হয়নি। পাশাপাশি ময়নাতদন্তও হয়েছিল ওই বাঘিনীর। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগে ভীষণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল বাঘিনী কল্পনা। তার শরীরে উচ্চ মাত্রায় ক্রিয়েটিনিনের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছিল।

কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য এবং সেক্রেটারি ডিএন সিং অবশ্য বাঘিনীর মৃত্যুর জন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ি করেছেন। তাঁর কথায়, “সম্ভবত বাঘিনীটি ডিহাইড্রেশনের জেরে মারা গিয়েছে। জব্বলপুরের এক সিনিয়র ভেটেরেনারি ডাক্তার বলেছিলেন বাঘিনীকে যেন স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু চিড়িয়াখানার কর্মীরা তা করেননি। পাশাপাশি কল্পনার সৎকারের সময় কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক হাজির ছিলেন না। এটাও নিয়ম বিরুদ্ধ।“

সম্পর্কিত খবর