বর্ধমানের সুপ্রীতির জন্য উন্মুক্ত হল ইসরোর দ্বার, এবার স্বপ্ন সফলের পালা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছোট বেলা থেকে দেখা স্বপ্ন দেখতো মহাকাশ (Space) বিষয়ে গবেষণা করার। বড়ো হয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে বর্ধমানের (Bardhaman) সুপ্রীতি ভট্টাচার্যের। স্বপ্ন সফলের জন্য ডাক পেয়েছে ইসরো (ISRO) থেকে। ইসরোর এই তালিকায় সুপ্রীতি ছাড়াও রাজ্যের দশ জন স্থান পেয়েছে।


আগামী মাসে শুধুমাত্র একটি অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই, ইসরোর দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যাবে সুপ্রীতির জন্য। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন প্রকল্পের প্রথম তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এই অসীম মেধা সম্পন্ন বালিকা। সুপ্রীতি ভট্টাচার্য বর্ধমানের ইস্ট ওয়েস্ট মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বর্ধমান শহর লাগোয়া গোলাপবাগ মোড় সংলগ্ন আমতলা এলাকায় সুপ্রীতির বাড়ি। গত বুধবার ইসরো মারফত এই নির্বাচনের মেল আসার সাথে সাথেই সুপ্রীতিসহ তাঁর পরিবার পরিজন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।

নিজের এই নির্বাচন নিয়ে সুপ্রীতি জানায়, ”ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে আমার। ইসরোয় যাওয়ার সুযোগ পেলে আরও অনেক বড় বিজ্ঞানীদের মুখোমুখি হতে পারব। তবে রোবট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও আছে আমার”। ছাত্রীর এই সাফল্যে স্কুলের অধ্যক্ষ শুভদীপ দে জানান, ”প্রথম থেকেই স্কুলে ভাল রেজাল্ট করে সুপ্রীতি। পড়াশুনা ছাড়াও ভরতনাট্যম এবং অ্যাথলেটিক্সেও আগ্রহ আছে সুপ্রীতির। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেছে। তাঁর এই মেধার জোরেই সে ইসরোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে”। মেয়ের এই সাফল্যে মায়ের বক্তব্য, ”আগে থেকেই মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল। বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে অনেক সময় অনেকরকম অনলাইনে পরীক্ষাও দিয়েছে”।

খুদে পড়ুয়াদের মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা এবং গবেষণার বিষয়ে উত্‍সাহ প্রদান করতে এই প্রকল্প শুরু করেছে ইসরো। এই বিজ্ঞাপন মাসখানেক আগে ইসরোর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের তরফ থেকে মোট পাঁচ জনকে বেছে নিয়ে অনলাইনে আবেদন করা হয়েছিল। আর সেই তালিকা থেকে সুপ্রীতি সেরার তালিকায় উঠে আসে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর