বিয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল, অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় শহীদ বাঙালি জওয়ান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দু’মাস বাদেই ছিল চার হাত এক করার কথা, মনে ছিল নতুন সংসার বাঁধার স্বপ্ন। এক নতুন জীবনে পা রাখতে চলেছিল সিআরপিএফে (CRPF) কর্মরত এক বাঙালি জওয়ান৷ কিন্তু সে স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় শহিদ হলেন তিনি। নাম শ্যামল কুমার দে (Shyamal Kumar Dey) (২৭)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর সিংপুর (Singapore of Sabang in West Midnapore) গ্রামে।

সংবাদসংস্থা সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন, জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় জওয়ানরা হাইওয়েতে পাহারারত ছিলেন।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরে অনন্তনাগ জেলার বিজবেহরা অঞ্চলে পাদশাবহি বাগ সেতুর কাছে টহল দিচ্ছিল সিআরপিএফ-এর ৯০ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেই সময় আচমকাই বাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা।

ওই হামলায় গুরুতর আহত হন শ্যামল-সহ আরও ২ সিআরপিএফ জওয়ান ও এক ৯ বছরের বালক। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শ্যামল ও ৯ বছরের বালকের মৃত্যু হয়। বালকের বাড়ি কুলগামে।এরইমধ্যে পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ওই ৩ জঙ্গি। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।

শহিদ জওয়ানের পরিবার সূত্রে খবর, মাস দু’ য়েক পরেই শ্যামলের বিয়ে ছিল। তিনিই ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বিয়ে উপলক্ষে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। নির্মাণ সামগ্রী কেনার বিষয়ে কথা বলার জন্য এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ শ্যামলকে ফোন করেন তাঁর বাবা। কিন্তু বার দু’ য়েক চেষ্টা করেও ছেলেকে ফোনে পাননি তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিআরপিএফ-এর তরফে ফোন করে শহিদ জওয়ানের বাবাকে তাঁর ছেলের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়।

জওয়ানের শহিদের খবর পেয়ে এদিন তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া এবং সবং-এর বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া। পাশাপাশি জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারাও শহিদ জওয়ানের বাড়িতে যান। সম্ভবত শনিবারই শহিদ জওয়ানের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। মানসবাবু জানান, শহিদ জওয়ানের জন্য গোটা সবংবাসী গর্বিত৷ সরকার এবং দলের তরফে শহিদ জওয়ানের পরিবারের পাশে থাকা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।

সম্পর্কিত খবর