হয়নি ব্রিজ, বাধ্য হয়ে গলা জলে ডুবে শ্মশানে মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা! ক্যামেরায় ধরা পড়ল মর্মান্তিক দৃশ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অসহায়, মর্মান্তিক, ভয়াবহ-এরকম আরোও কিছু বিশেষণ বললেও যেন কম বলা হয়। এক গলা সমান জলের মধ্যে দিয়ে মৃতদেহকে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার ঘটনা যেন আবারও চিন্তা বাড়াল আমজনতার। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তাটি প্লাবিত হওয়ায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও একটি ডুবন্ত খাল পার হতে হলো। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার গোলামুন্ডা ব্লকের বেহেরাগুড়ার।

সূত্র অনুযায়ী, নিহত সান্তা রানা দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে ভুগছিলেন এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। কিন্তু, রীতি অনুসারে রানার পরিবার খারাপ আবহাওয়ার মুখেই মৃতদেহ দাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মৃতদেহ কাঁধে তুলে বৃষ্টির মধ্যেই বুক-সমান জল ভেঙেই শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। কলাপাতা দিয়ে ঢেকে নেন মৃতদেহ, যাতে বৃষ্টির জলে ভিজে না যায়।মৃতদেহ দাহ করার পর তারা আবার সেই খাল পার হয়েই বাড়ি ফিরে আসে।গোটা ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নদীর জল ভেঙে দেহ নিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে।

জানা গিয়েছে, খালের অপর পাশে শ্মশানটি অবস্থিত। খালের ওপারে কিছু বাসিন্দারা কৃষি কাজে যুক্ত, কেউ কেউ আবাসন প্রকল্পের অধীনে খালের পাশে তাদের বাড়িঘরও তৈরি করেছে। উপরন্তু, বাসিন্দারা জলের জন্য ওই খালের উপর নির্ভরশীল। সব মিলিয়ে গ্রামবাসী তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য এই খালের ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা ওই খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও সরকার এখনও সেদিকে কর্ণপাত করেনি। প্রতি বছর বৃষ্টির দিনে একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বেহরাগুড়াকে, কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবির প্রতি এখনও কোন সুরাহা হয়নি জেলা প্রশাসনের তরফে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর