সন্ধ্যা হলেই “তেনাদের” ভয়ে দরজায় খিল! FIR দায়ের “ভূতের” বিরুদ্ধে! ভিডিওতে ধরা পড়ল ভৌতিক কাণ্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভূত আছে কি নেই এই প্রসঙ্গে বিবিধ প্রশ্ন চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কেউ কেউ তাদের উপস্থিতি নিয়ে জোরালো দাবি জানালেও অনেকে আবার সেইসব যুক্তি হেসে উড়িয়ে দেন। তবে, ভূতের প্রসঙ্গ এলেই গা ছমছমে ব্যাপারটাও এসেই যায়। এমতাবস্থায়, “তেনাদের” উপস্থিতিতেই এবার তটস্থ হয়ে রয়েছেন বারাণসীর (Varanasi) বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই একাধিক ভৌতিক কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media) ভাইরাল (Viral) হয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিও। যেখানে “সাদা” রঙের “ভূতের” উপস্থিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সবার।

আর সেই কারণেই সন্ধ্যে নামার সাথে সাথেই “তেনাদের” হাত থেকে বাঁচতে ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই আচমকাই ভূতের উপদ্রবে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন সকলে। এমনকি, রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ির ছাদে দেখা মিলছে সাদা রঙের “রহস্যজনক” এক অবয়বের। এমতাবস্থায়, সম্প্রতি এক ব্যক্তি বাড়ির ছাদে বসে থাকা অবস্থায় ওই অবয়বের একটি ভিডিও করে তা সরাসরি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেন। যা তুমুল গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করে।

শুধু তাই নয়, তারপর থেকেই ভূতের আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি, রাত্রি হলেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়িমুখো হচ্ছেন সবাই। জানা গিয়েছে, ওই রহস্যজনক অবয়বকে প্রথমে বারাণসীর ভিডিএ কলোনিতে দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি, সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে আসে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, একটি ছায়া বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে অনায়াসে হেঁটে যাচ্ছে। যদিও, পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

এমতাবস্থায়, কিছুজন ওই ভিডিওগুলিকে ভুয়ো বলে মনে করলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কিন্তু যথেষ্ট আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন ভিডিও ভাইরাল হতেই তৎপর হয়েছে পুলিশও। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি করার জন্য পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভেলপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার ইন্সপেক্টর রমাকান্ত দুবে জানিয়েছেন, “ভিডিওটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আমরা বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের করেছি। পাশাপাশি, ওই এলাকায় পুলিশের পেট্রোলিংও বাড়ানো হয়েছে। দুষ্কৃতীরা দ্রুত ধরা পড়বে।” এদিকে, ঘটনাটির পরিপ্রেক্ষিতে, বারাণসীর ডিসিপি জানিয়েছেন যে, এই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিও দেখলেও তা যেন ফরওয়ার্ড না করা হয় সেই বিষয়টিরও অবতারণা করেন তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর