মন্দির তৈরির টাকায় চাল কিনে গরিবদের দান করলেন হিন্দু দম্পতি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মন্দির গড়লে হয়তো প্রতিষ্ঠালিপিতে নাম লেখা থাকত তাঁদের। নাম জানত পরের প্রজন্ম। কে জানে হয়তো রবীন্দ্রনাথের ‘দীনদান ‘ কবিতার মতো কোনও সাধু কোনও দিন বলতে পারতেন “সে মন্দিরে দেব নাই”। তাই স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে “জীব জ্ঞানে শিবসেবা” করার পন্থাই তাঁরা নিয়েছেন।

ধূপগুড়ি (dhupguri,) শালবাড়ির কর্মকার দম্পতি পেশায় ব্যাবসায়ী। বাড়ির কাছেই থাকা বাজারে তাদের গালামালের দোকান। তাঁরা কৃষ্ণের ভক্ত। কয়েক বছর ধরে লক্ষাধিক টাকা জমিয়ে ছিলেন বাড়ির সামনে একটি রাধাকৃষ্ণর মন্দির বানাবেন বলে। মনস্থ করেছিলেন এই বৈশাখে মন্দির বানানোর কাজ শুরু করবেন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন (lockdown)। কর্মহীন হয়ে পড়েন বহু মানুষ। শুরু হয় অর্থাভাব। সরকার রেশন দিচ্ছে ঠিকই তবে তাতে অনেকের কুলোচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানও এব্যাপারে এগিয়ে এসেছে।

ইচ্ছা ছিল ঈশ্বরের জন্য মন্দির গড়বেন। তবে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির শালবাড়ির খোকন কর্মকার ও দুর্গা কর্মকার সেই টাকায় করলেন নরনারায়ণের সেবা। মন্দির না বানিয়ে সেই টাকা দিয়ে বস্তা বস্তা চাল কিনে বিলি করলেন দম্পতি।

খোকন ও দুর্গা কর্মকার স্থির করেন তাঁদের আশপাশে থাকা দরিদ্র পরিবারের হাতে চাল তুলে দেবেন। তাঁরা যোগাযোগ করেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়ের সঙ্গে। রবিবার বিধায়কের উপস্থিতিতে তাঁর হাত দিয়ে এলাকার অন্তত দেড়শো পরিবারের হাতে এক বস্তা করে চাল তুলে দেয় কর্মকার দম্পতি।

মিতালি রায়(Mitali Roy) বলেন, “দুর্গা কর্মকার যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলেন। বুঝতে পারি যে উনি একটি মহত কাজ করবেন। তখন আমি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি। এখানে এসে দেখলাম মন্দির না বানিয়ে সেই টাকা দিয়ে তিনি দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনকে সাহায্য করছেন। সত্যিই তিনি দেবী দুর্গার মতো কাজ করলেন। আমি তাঁকে শত কোটি প্রণাম জানাই।

সম্পর্কিত খবর