মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলেও ইন্দোনেশিয়ার টাকায় জ্বলজ্বল করে গণেশের ছবি! কারণ চমকে দেবে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মহাসমারোহে দেশজুড়ে পালিত হল গণেশ পুজো (Ganesha Puja)। প্রত্যেক হিন্দুর কাছেই সিদ্ধিদাতা গণেশ হলেন একজন আরাধ্য দেবতা। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমনই একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যা হয়ত অনেকেরই অজানা। মূলত, ভারতের গন্ডী পেরিয়েও এই হিন্দু দেবতার প্রভাব ছড়িয়েছে এক মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও। শুধু তাই নয়, সেই দেশের নোটেও দেখা যায় গণেশের ছবি! বিষয়টি শুনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

মূলত, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) নোটে গণেশের ছবি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭.৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন। পাশাপাশি, সেখানে হিন্দু জনসংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ। এমতাবস্থায়, আসুন জেনে নিই কেন সেখানকার নোটে গণেশের ছবি থাকে!

নোটে রয়েছে গণেশের ছবি: ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম হল “রূপিয়াহ”। সেখানে ২০ হাজারের নোটে ভগবান গণেশের ছবি রয়েছে। এর কারণ হল, ভগবান গণেশকে ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষা, কলা ও বিজ্ঞানের দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এদিকে, ইন্দোনেশিয়ায়, ২০ হাজারের নোটের সামনের অংশে ভগবান গণেশের ছবি এবং পিছনে একটি শ্রেণিকক্ষের ছবি রয়েছে। যেখানে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।

সেই সঙ্গে নোটটিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হাজর দেবান্তরার ছবিও রয়েছে। দেবান্তরা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার অন্যতম নায়ক ছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার জাতীয় অর্থনৈতিক চিন্তাবিদরা অনেক ভেবেচিন্তে কুড়ি হাজারের একটি নতুন নোট জারি করেন। যেখানে ভগবান গণেশের ছবি দেওয়া হয়।

WhatsApp Image 2022 09 13 at 7.33.54 PM

এমতাবস্থায়, সেখানকার মানুষ বিশ্বাস করেন, ওই কারণেই এখন ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। জেনে অবাক হবেন যে, ওই দেশে শুধু গণেশই নয়, পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ান আর্মির ম্যাসকট হিসেবে হনুমানজিও রয়েছেন। এছাড়াও, সেখানকার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে অর্জুন ও শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি রয়েছে। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণ ও অর্জুনের পাশাপাশি ঘটোৎকচের মূর্তিও বসানো আছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর