UN এ ভারতের সমর্থনে বড়ো বক্তব্য দিল মালদ্বীপ, ঝামা ঘষা গেল চীন-পাকিস্তানের মুখে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মহামারির মধ্যেও সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলোকে যথাসাধ্য সাহায্য করে গেছে ভারত (India)। কখনও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়ে, আবার কখনও খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে, এই সংকটের দিনেও বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। দুঃসময়ে অন্যান্য দেশের পাশে দাঁড়ানোয় সর্বজনের প্রশংসাও কুড়িয়েছিল ভারত।

   

সংযুক্ত রাষ্ট্রমহা সভার ৭৫ বছর পূর্তিতে মালদ্বীপের (Maldives) বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লা শাহিদ এই সংকটের সময় তাদের সাহায্য করার জন্য ভারতে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যারা এই সংকটের দিনেও আমাদের আর্থিক সাহায্য করেছে, তাদের আমি সকলকেই ধন্যবাদ জানাব। নিজেরাও সমস্যার মধ্যে থাকা সত্ত্বেও আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতকে সবথেকে বেশি ধন্যবাদ জানাব। কারণে এই বিপদের দিনেও তারা আমাদের ১৮৪২ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে’।

এখানেই শেষ নয় মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লা শাহিদ আর জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কারণে গোটা বিশ্ব আর্থিক সংকটে ভুগছে। এই সময় বন্ধু এবং প্রতিবেশি দেশের সাহায্য ছাড়া কোনভাবেই মালদ্বীপ এই সমস্যা থেকে নিস্কৃতি পেত না। এই মহামারির ফলে মালদ্বীপের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন শিল্প অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে’।

কৃতজ্ঞাতা স্বীকার করার সময় এসেছে মালদ্বীপের। সেই কারণে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলির অনুরোধে রাজধানী মালেতে এই মাসেই আয়োজিত এক বৈঠকে ভারতের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। মালদ্বীপে ভারতীয় দূতাবাস মারফত জানা গেছে, ভারত মার্চ মাস থেকেই মালদ্বীপের সাহায্য করছে। প্রথমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের টিম পাঠিয়ে, তারপর এপ্রিল মে মাসে প্রয়োজনীয় ঔষধি সামগ্রী এবং পরবর্তীতে মে মাসে ৫৮০ টোন খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে সাহয্য করেছে।

ধীরে ধীরে মালদ্বীপ এবং ভারতের বন্ধুত্ব আর গভীর হয়ে ওঠায়, তা একদমই মেনে নিতে পারছে না চীন সরকার জিনপিং। এই পরিস্থিতিতে চীনের থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য মালদ্বীপের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু বিগত ৬ মাস ধরে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প স্থগিত থাকায়, মালদ্বীপের অর্থনীতির হাল বেহাল। এই বস্থায় মালদ্বীপের উপর আর্থিক ঋণ মেটানোর চাপ দিয়ে চীন সরকার নোংরা খেলায় মেতে উঠছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর