মা চলে গেছেন বহু আগেই, লকডাউনে মারা গেলেন বাবাও, অনাহারে দিন কাটছে চার ছোট্ট শিশুর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে দেশ জুড়ে জারী হওয়া লকডাউনের (Lockdown) মধ্যে বিভিন্ন রকম মানবিক ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। কখনও দেখা গেছে একটি ষাঁড় বিক্রি করে বাড়ির কর্তা নিজেই লাঙ্গলের হাল কাঁধে তুলে নিয়েছে, তো আবার কখনও দেখা গেছে বৃদ্ধা মাকে সাইকেলের ক্রেটে বসিয়ে দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন ছেলে।

মানবিক ঘটনা
লকডাউনের মধ্যে এরকম বহু ঘটনায় মানুষের চোখে জলও এসেছে বহুবার। তবে রোহতের তিলোথু ব্লকের কোডার গ্রামের একটি ঘটনায় সকলের চোখেই আবার জল চলে এল। গবীর সত্ত্বার সাথে লড়াই করতে করতে, হার মেনে চার সন্তানকে রেখে বহু আগেই ঘর ছেড়েছেন মা। এবং এই লকডাউনের মধ্যে কাজ হারিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন বাবাও। অসহায় ওই বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকালেই যে কারো চোখে জল চলে আসবে।

বয়স আনুমানিক ৪ থেকে ৯ বছর
বড় মেয়ে নন্দিনী, বয়স আনুমানিক ৮ বছর এবং তার  উপরে রয়েছে দাদা জয়কিশন, বয়স ৯ বছর। ছোট বোন সুইটির বয়স ৬ বছর এবং সবথেকে ছোট যুবরাজ, বয়স ৪ বছর। ৯ থেকে ৪ বছরের মধ্যে তারা চার ভাই বোন। বছর তিনেক আগেই তাঁদের মা দারিদ্রের শিকার হয়ে, তাঁদের ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। সেই থেকে পিতাই তাঁদের আগলে রাখত। পড়াশুনাও করত তারা।

অসহায় হয়ে পড়ে বাচ্চারা
সমগ্র দেশ জুড়ে লকডাউন জারী হওয়ায়, তাঁদের পিতা কর্মহীন হয়ে পড়ে। কজ হারিয়ে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে হতে বাবা সুরেন্দ্র মিশ্র গত ২৩ শে মে তাঁদের ছেড়ে চিরনিন্দায় ঢলে পড়েন। এরপর থেকে অনাথের মত দিন কাটতে থাকে তাঁদের। বড় ভাই বোন দুজন সবটা বুঝতে পারেলও, ছোট দুজন কিছুই বুঝতে পারছে না। প্রতিবেশীরা মাঝে মধ্যে তাঁদের চাল দিয়ে সাহায্য করে। এবং তা কনরকমে ফুটিয়ে ভাই বোনদের মুখে তুলে দেয় বড় বোন নন্দিনী। তবে বর্তমানে এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তাঁদের সাহায্য করতে গ্রামের কর্তারা এগিয়ে এসেছেন। এবং তাঁদের কোন আত্মীয় থাকলে, তাঁদেরও খোঁজখবর করা হচ্ছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর