বাংলার মানুষ দেখছে আশার আলো, ৫ জেলায় করোনায় কোনও মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ভালো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০২০ সাল পড়তেই সারা বিশ্বকে যেন গ্রাস করেছে মারণ ভাইরাস করোনা (corona virus)। দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পাশাপাশি হাতছানি দিয়েছে মৃত্যু মিছিলও। এও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আশার আলো দেখছে মানুষ।

জানা গিয়েছে, বাংলার ৫টি জেলায় এখনও করোনার কারণে কারও প্রাণহানি হয়নি। আর এই জেলাগুলিতে বাংলার ৫টি জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।

CORONA 34

শুক্রবার সন্ধেবেলা স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৮৮০ জন। কিন্তু ইতিবাচক এই যে, উত্তরবঙ্গের দুই জেলা ও জঙ্গলমহলের তিন জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

al

আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যা ১৯৩ জন। তার মধ্যে ১৮৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মাত্র সাত জনের শরীরে করোনাভাইরাস সক্রিয় রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই সাত জনের কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। দু’তিন জনকে আজ-কালের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। কোচবিহার জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বেশি।

c0481846 wuhan novel coronavirus illustration spl 1

এবার দেখা যাক জঙ্গলমহলের বাকি দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার ছবিটা ঠিক কেমন। বাঁকুড়া জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪৬ জন। ৫৭ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। পুরুলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫ জন। ৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা চলছে ২২ জনের।
তা ছাড়া বাংলায় এমন তিনটি জেলা রয়েছে, যে জেলাগুলিতে মাত্র এক জন করে কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সেগুলি হল, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর। এবাদ দিয়ে জলপাইগুড়ি, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূমে তিন জনে করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর নিরিখে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তপর ২৪ পরগনা ও হাওড়া। উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের এবং হাওড়ায় ১২১ জনের। তবে চিকিৎসক মহলের অনেকেই বলছেন, এখনও পর্যন্ত বাংলার পাঁচ জেলার মৃত্যুহীন থাকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁদের মতে, এই পরিসংখ্যান অন্য জেলাগুলির আক্রান্ত ও চিকিৎসকদেরও অক্সিজেন জোগাবে।

সম্পর্কিত খবর