বাগদাদি জমানা শেষ: আইএসের রাশ উঠলেও কুখ্যাত জঙ্গি দ্য প্রফেসরের হাতে

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  শনিবার সিরিয়ার ইদলিবে মার্কিন সেনাদের হামলায় আইএস প্রধান তথা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যু হয়৷ তাই আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পর আইএসের দায়িত্ব উঠল তত্কালীন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড দ্য প্রফেসরের হাতে৷ কুখ্যাত জঙ্গি হিসেবে খ্যাতি রয়েছে দ্য প্রফেসরের৷ তাঁর আসল নাম আবদুল্লা কার দাস৷ নিজের কর্তব্যের প্রতি অবিচল এবং আইএস এর সমস্ত নিয়ম কানুন প্রতিটি পদে পদে মেনে চলে সে৷ তাই আইএসের সমস্ত সদস্যরা তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করত একই সঙ্গে দলের বেশির ভাগ দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর৷ যদিও প্রথম পর্যায়ে ইরাকি সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন তিনি কিন্তু ইরাক হামলার পরে কারাবাস হয় তাঁর এবং কারাবাসে বাগদাদির সঙ্গে আলাপ হয় এবং তার পরে জঙ্গি কার্যকলাপের পথ শুরু৷

gettyimages 646639778
TOPSHOT – A member of the Iraqi forces walks past a mural bearing the logo of the Islamic State (IS) group in a tunnel that was reportedly used as a training centre by the jihadists, on March 1, 2017, in the village of Albu Sayf, on the southern outskirts of Mosul.
Iraqi forces launched a major push on February 19 to recapture the west of Mosul from the Islamic State jihadist group, retaking the airport and then advancing north. / AFP PHOTO / AHMAD AL-RUBAYE (Photo credit should read AHMAD AL-RUBAYE/AFP/Getty Images)

তাই শনিবার আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর এরপর নিয়ম মেনে শেষকৃত্য হয় এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দ্য প্রফেসর কে দলের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ জানা গিয়েছে আইএস প্রধান বাগদাদি সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ যেহেতু তাঁকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলে তাঁর সমাধি ক্ষেত্রের উপর জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে উঠতে তাই ওসামা বিন লাদেনের মতো সমুদ্রই জায়গা হয়েছে তাঁর৷ স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পর কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে জঙ্গিরা৷

শনিবার আইএস এর ডেরায় আবু বকর আল বাগদাদিকে নাগালে পেতে তাঁরই এক সহযোগীকে কাজে লাগিয়েছিল মার্কিন সেনাদল পেন্টাগন৷ যেহেতু ওই শহরের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জঙ্গিদের হাতে নিহত হয় তার জেরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তার মধ্যে এবং সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে পেন্টাগন কাজ শুরু করে দেয়৷ তিনিই নাকি বাগদাদির গোপন ডেরার নকশা বলে দেয় মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে৷ দীর্ঘ কয়েক মাস লাগাতার প্রচেষ্টার পর অবশেষে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বাগদাদির ডেরায় হানা দেওয়ার সুযোগ আসে৷

সম্পর্কিত খবর