করোনা মুক্ত হচ্ছে বিশ্ব, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও করোনা মুক্ত হল আরও আটটি দেশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার দুপুরে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দের্ন (Jacinda Ardern) ঘোষণা করেছিলেন, তার দেশ করোনা মুক্ত। শেষ করোনা পজেটিভ ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার নিউজিল্যান্ড ফিরছে তার চেনা ছন্দে। কঠোর লকডাউনের ফলে আজ তারা এই মহামারিকে জয় করতে পেরেছে। তিন মাস ১০ দিনের লকডাউনের পর খুলে দেওয়া হচ্ছে সবকিছুই।

   

শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ড নয়, আরও বেশকিছু দেশের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা করোনাকে মাত দিতে সক্ষম হয়েছে। করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে নিজের জালে বাঁধতে পারলেও, তারা কিন্তু ছাড়া পেয়ে গেছে।

ক্যারিবিয়ান দেশ হল সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এখানকার জনসংখ্যা মাত্র ৫২ হাজার ৪৪১ জন। গত ২৪ শে মার্চ সেখানে প্রথমবার করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। আর তারপর থেকেই কার্ফু জারী করে বন্ধ করে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট, স্কুল, অনিত্যপ্রয়োজনীয় সব দোকান। সরকারের তৎপরতায় মাত্র ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হন। এবং তারা বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থও হয়ে গিয়েছেন। গত ১৯ শে মে এই দেশ নিজেদেরকে সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করে দেয়।

রাজধানীর ভিক্টোরিয়ার দেশ সিসিলি ১৯৭৬ সালের ২৯ জুন স্বাধীন হয়। ৯৭ হাজার ৯৬ জনের এই দেশে করোনা আক্রান্ত হন মাত্র ১১ জন। বর্তমানে তারা সকলেই সুস্থ। গত ১৪ ই মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় চিন ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের সংযোগ স্থল এমনকি যুদ্ধ জাহাজও।

গত ২১ শে মার্চ ৬০ লক্ষ মানুষের দেশ ইরিত্রিয়া নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটে। এই দেশে মাত্র ৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হলেও ১৫ ই মে করোনা মুক্তির ঘোষণা করে।

৬ লক্ষ ২২ হাজার ৩৫৯ জনের দেশ হল মন্টিনিগ্রো। ১৭ ই মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পেলেও ২৪ শে মে নিজেদেরকে করোনা মুক্ত বলে জানিয়ে দেয়। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট ৩২৪ জন।

‘বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য’-র দেশ হল ওশিয়ানিয়ার পাপুয়া নিউ গিনি। ৮০ লক্ষ ৯০ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে ২০ শে মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই রাত্রিকালীন কার্ফু জারী করে সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাত্র ৮ জন করোনা আক্রান্ত হলেও ৪ ই মে সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত হয়ে যায়।

‘রোমান কোর্ট’ দ্বারা পরিচালিত দেশ হলি সি ৬ ই জুন নিজেদের করোনা মুক্ত ঘোষণা করে। আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১২ জন। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই সব ধরনের পর্যটন বন্ধ করে এই দেশ।

রাজধানী দিল্লীর অন্তর্ভুক্ত পূর্ব তিমুরে গত ২১ শে মার্চ প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। করোনা ভাইরাসের খবর শোনা মাত্রই ১০ ই ফেব্রুয়ারী থেকেই বন্ধ করা হয় স্কুল, জমায়েত। করোনা আক্রান্ত হন মাত্র ২৪ জন, যারা বর্তমানে পুরোপুরি সুস্থ। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রেখে গত ১৫ ই মে করোনাকে হার মানাতে বাধ্য করে এই দেশ।

প্রধানমন্ত্রী ফ্রেঙ্ক বেইনিমারামার দেশ হল ফিজি। ১৯ শে মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে বন্ধ করে বিমান পরিষেবা। গত ২০ শে এপ্রিল নিজেদের করোনা মুক্ত বলে জাহির করা এই দেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১৮ জন। এবং সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে আগত নাগরিকদের জন্য ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর