ফুটপাতে খাবার বিতরণ করতে গিয়ে ভিক্ষা চাওয়া নীলামের প্রেমে পড়ল যুবক, সম্পন্ন হল বিয়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের (Lockdown) মধ্যে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক ঘটনা সকলের হৃদরে সাড়া ফেলেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যে বহু হৃদয়স্পর্শী গল্প আমাদের সামনে উঠে এসেছে। গল্প বলে মনে হলেও, সেগুলো কিন্তু বাস্তব সত্য। কোথাও শোনা গিয়েছে, মন্দির কমটি থেকে রমজান মাসের উপলক্ষ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করছে, তো কোথাও আবার এই সংকটের সময়ে স্কুল কলেজের ছাত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুঃস্থদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। তবে এসবের মধ্যে আবার বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছেন অনেকে।

   

এক অনন্য বিয়ের গল্প
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনেকেই এই লকডাউনের মধ্যে নিজের জীবন সঙ্গীর সঙ্গে সাত পাকে ঘুরেও নিয়েছেন। কিন্তু লকডাউনে এমন এক বিবাহের খবর সামনে এসেছে, যা আর পাঁচটা সাধারণ বিবাহের থেকে অনেক আলাদা। দুঃস্থ মানুষদের মুখে অন্নের সংস্থান করতে গিয়ে, এক ভিখারিনী নীলামকে বিয়ে করলেন অনিল।

মেয়ে হয়েও রাস্তায় ভিক্ষাবৃতি করতে থাকে নীলাম
লকডাউনের মধ্যে মানুষের চিন্তা ভাবনার অনেক বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা গেছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম এবং নজির গড়ল এই বিবাহের ঘটনা। উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলায় পিতা মারা যাওয়ার পর পক্ষাঘাতগ্রস্থ মাকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চাওয়া নীলামকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয় দাদা এবং বৌদি। যার ফলে রাস্তায় আর পাঁচটা ভিখারির মতো ভিক্ষা বৃত্তি করতে শুরু করে নীলাম।

নীলামকে ভালোবেসে ফেলে অনিল
লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ী লালতা প্রসাদ, তাঁর গাড়ির ড্রাইভার অনিলকে নিয়ে ফুটপাতবাসিদের জন্য খাবার দিয়ে যেত। সেখানে গিয়ে অনিলের সাথে দেখা হয় নিলামের। পরিবারের গল্প শোনার পর নীলামকে ভালোবেসে ফেলেন অনিল। বাড়িতে অনিলের বাবা, মা, ভাই, বোন সকলেই রয়েছে। অনিলের মালিক লালতা প্রসাদকে তাঁদের দুজনকার সম্পর্কের কথা জানায় অনিল।

বিবাহিত জীবন সুখের হোক
লালতা প্রসাদ তাঁদের এই সম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে, অনিলের বাবাকে বিয়েতে রাজি করান। তারপর তাঁদের উপস্থিতিতে কানপুরের বৌদ্ধ আশ্রমে অনিলের এবং নীলামের চার হাত এক করে দেওয়া হয়। সমস্ত রকম সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয় এই বিয়ের অনুষ্ঠান। তাঁদের পরবর্তী জীবন সুখকরের কামনায় আশির্বাদও করলেন তিনি।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর