ভরসা ছিল নিজের ওপরে! ৩৯ বার ব্যর্থ হয়েও ৪০ তম বারে সফল হয়ে গুগলে চাকরি পেলেন যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশিষ্ট কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষ তাঁর “পারিব না” কবিতায় লিখেছিলেন “একবার না পারিলে দেখ শতবার”। অর্থাৎ, কোনো লক্ষ্যকে স্থির রেখে তা পূরণের ক্ষেত্রে বারংবার বাধাপ্রাপ্ত বা ব্যর্থতার সম্মুখীন হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পূর্ণ উদ্যমে ফের চেষ্টা করে যেতে হবে। পাশাপাশি, মনের জোর এবং নিজের প্রতি ভরসা রেখে এই চেষ্টার মাধ্যমেই নিশ্চিতভাবে পূরণ করা সম্ভব নির্ধারিত লক্ষ্য (Success)। আর এই চির সত্যকেই যেন ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন এক যুবক।

   

এমনিতেই, প্রতিটি সফল ব্যক্তির পেছনেই থাকে এক হার না মানা অদম্য জেদ এবং লড়াইয়ের কাহিনি। আর এই সবকে সামনে রেখেই এবার নজিরবিহীন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সানফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা কোহেন। যিনি ৩৯ বার চেষ্টা করেও প্রতিবারই ব্যর্থ হয়ে হাতছাড়া করেছিলেন চাকরি। যদিও, তিনি হাল না ছেড়ে দিয়ে নিজের চেষ্টা বজায় রেখেছিলেন।

আর তারপরেই ৪০ তম প্রচেষ্টায় তিনি পেয়ে যান বিরাট সফলতা। যে সংস্থায় কাজ করার জন্য সমগ্ৰ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ যুবক মুখিয়ে থাকেন সেই গুগলের মত সংস্থাতেই চাকরি হাসিল করেন কোহেন। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর এই লড়াকু মনোভাবের কাহিনি অনুপ্রাণিত করছে সকলকেই।

পাশাপাশি, এই বিরাট সাফল্যের কথা নেটমাধ্যমে সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন কোহেন। এমতাবস্থায়, এই ঘটনায় অভিনন্দন আর শুভেচ্ছাবার্তার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। মূলত, নিষ্ঠা, জেদ এবং অধ্যাবসায়ের ওপর ভর করে অর্জিত সাফল্যে কোহেন এখন সকলের কাছে “আইকন” হয়ে উঠেছেন।

Success Story,Social Media,Inspirational Story,Inspiration,International,Google,Job,failure,San Francisco
২০১৯ থেকে করে যাচ্ছিলেন আবেদন: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সাল থেকে গুগলে চাকরির জন্য আবেদন করে যাচ্ছিলেন কোহেন। যদিও, প্রতিবারই ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। তবু, নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। নিতে থাকেন প্রস্তুতিও। নিজের ঘাটতিগুলিকে পূরণের পাশাপাশি, ব্যর্থতার অভিজ্ঞতাগুলিকে কাজে লাগিয়েই উত্তরণের পথ তৈরি করেছেন কোহেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর