একাই ৮০ কিলোমিটার হেঁটে বিয়ে করতে গেলেন তরুণী, সোশ্যাল ডিসস্টেসিং মেনেই হল বিয়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউন (lockdown) কি আর বিয়ে আটকেতে পারে? বিয়ের জন্যই হেঁটে ৮০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন কনে। বছর ২০-র ওই তরুণী একাই এতটা পথ সফর করে অবশেষে পৌঁছন হবু বরের বাড়িতে। এরপর সেখানেই হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, গত ৪ মে বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল এই তরুণীর। তবে বাধ সেধেছিল লকডাউন।

যদিও বিয়ে পিছিয়ে গেলেও ফোনে যোগাযোগ ছিল দু’জনের। বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েছিলেন বছর ২০-র গোল্ডি আর তাঁর হবু বর বীরেন্দ্র কুমার। কারণ এর আগেও একবার এমনটাই হয়েছিল। এমন ঘটনা গোল্ডি আর বীরেন্দ্রর জীবনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।

শেষ পর্যন্ত গত বুধবার হবু বরের বাড়ির দিকে হেঁটেই রওনা দেন গোল্ডি। কানপুরের লক্ষণপুর তিলক গ্রামের বাসিন্দা গোল্ডি ঠিক করেন গোটা পথ হেঁটেই যাবেন। যে করেই হোক কনৌজের বাইসাপুর গ্রামে বীরেন্দ্রর বাড়িতে তাঁকে পৌঁছতেই হবে। লখনউ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কনৌজের এই গ্রাম।

গোল্ডি যে তাঁদের বাড়িতে আসছেন একথা কাউকেই জানাননি বীরেন্দ্র। হবু বউমার আচমকা আগমনে খানিক হতবাক হয়ে যায় পাত্রের পরিবার। এরপর অবশ্য গ্রামের পুরনো মন্দিরে বিয়ে হয় তাঁদের। সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখার জন্য হাতেগোনা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া বিয়ে হাজির ছিলেন না কেউই। পাত্র-পাত্রী মাস্ক পরেই বসেছিলেন বিয়ে পিঁড়িতে।

গত ২৫ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভারতে চলছে লকডাউন। ১৭ মে থেকে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। আপাতত ৩১ মে পর্যন্ত ধার্য হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। প্রায় ২ মাস ধরে চলা এই লকডাউনের জেরে অসংখ্য বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। তবে নজিরবিহীন ভাবে বিয়ে সেরেওছেন অনেকেই। কেউ ভিডিও কলে বিয়ে করেছেন। কোনও ক্ষেত্রে আবার পাত্র বা পাত্রী কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছেছেন গন্তব্যে।

সম্পর্কিত খবর