বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে বাড়ি, তৃণমূলের প্রধান বললেন ‘প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম ভেঙে ঘর নেব না”

বাংলা হাট ডেস্কঃ নিচু তলায় তৃণমূল (All India Trinamool Congress) কর্মীদের কাটমানির অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি, কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ যে সত্যি তা বলাই বাহুল্য। তবে রাজনীতিতে শুধু অসৎ নয় সৎ মানুষও রয়েছে। এবার সামনে এল এমনই এক ঘটনা যা বুঝিয়ে দিল রাজনীতির আসল অর্থ। বুঝিয়ে দিল, রাজনীতি আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহারের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান রাজেন কিস্কু। তিনি শাসক দলের প্রতিনিধি, অন্যদিকে তার বোন শ্রীমতী হেমব্রমও দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। দুই ভাইবোন মানুষের জন্য কাজ করেন, সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী ঘর পাইয়ে দেবার ব্যবস্থাও করেন, কিন্তু তাদের নিজেদের ঘরই প্রায় বাসযোগ্য নয়। একদিকে যেমন মাটির দেয়ালে ফাটল ভেদ করে ঢুকছে জল, তেমনি গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে রীতিমত শোচনীয়। কিন্তু তাও নিজেদের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে নারাজ এই দুই ভাইবোন।

কারও কাছে এই নিয়ে আলাদা করে দরবার করতে চান না তারা। রাজেনের সাফ কথা , ‘‘সরকারি নিয়ম মেনেই আবেদন করেছি। কিন্তু নিময় ভেঙে কিছু পেতে চাই না।’’ একই মত শ্রীমতীরও। কষ্ট হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন তারা। কিন্তু শ্রীমতী বলছেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই কষ্ট করছি আমরা। বর্ষায় কষ্ট করেই থাকতে হয় ঘরে। যতদিন না কিছু হচ্ছে কষ্ট তো করতেই হবে।’’ সাধারণ পঞ্চায়েত প্রধান হলেও রীতিমতো বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উদাহরণ কম নেই। কিন্তু রাজেন শ্রীমতীদের মত আজকের রাজনীতিতে সত্যিই বিরল।

ঘটনা জানাজানি হতে তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলেই। তাদের ভূমিকা দলের মানকে অনেক উঁচুতে তুলে দিয়েছে বলেই মত তৃণমূল নেতৃত্বের। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায়ের মতে, ওরা দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। ওরা দলনেত্রীর তাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন আরও কয়েকগুণ।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর