চুরির টাকা দিয়ে গরিবদের কম্বল, পশুদের জন্য খাবার! চোরের কথা শুনে ‘থ” খোদ পুলিশ সুপার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ো ধরা’। কিন্তু এ যুক্তি এখানে খাটেনি ঠিকই কিন্তু চোরেদের চুরির কারণ শুনে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। তাদের যখন জিজ্ঞাসা করা হলো তারা চুরির এই টাকা নিয়ে কী করে? তাদের সোজা জবাব গরীব মানুষ আর পশুপাখিদের সাহায্যের জন্য নাকি তারা দান করে। অবাক লাগছে? নিশ্চয়ই ভাবছেন এও কী সম্ভব?

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেই চোর পুলিশের উপাখ্যান। জানা গিয়েছে, চোরের দলকে থানায় ধরে আনার পরেই ছত্তিসগড়ের দুর্গ জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লবের সাথে এক দল চোরের বাদানুবাদ শুরু হয়। পুলিশ সুপার জিজ্ঞেস করেন তাঁদের কেমন লাগছে চুরি করতে আর তারা কতো দিন ধরে এই কাজটি করছে। তার উত্তরে তারা বলে যে খুব বেশী দিন নয়।

চোরদের বক্তব্য ছিল এই যে, চুরি করতে ভালো লাগলেও এখন তারা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এই কথা শুনে থানার সবাই হেসে গড়িয়ে পড়েন। এরপর পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব জানতে চান, তারা এই চুরি করে অনুতপ্ত কীনা। আর কতো টাকাই বা তারা চুরি করেছে? এই প্রশ্নে তার সোজা জবাব সে ১০,০০০ টাকা চুরি করেছে। এরপরের প্রশ্নের জবাবেই পুলিশ সুপার স্তম্ভিত।thief j

চোরকে যখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন সে এই টাকা দিয়ে কী করেছে? সে বলে যে, রাস্তার গরীব মানুষের কাছে এই টাকা সে দান করেছে যাতে তাঁরা ঠান্ডায় কষ্ট না পান তাই কম্বল দিয়েছে। এছাড়াও রাস্তার বিড়াল, কুকুরদের খাবার কিনে দিয়েছে আর তাদের জন্য বাকি টাকা খরচ করেছে। তারপরেও সুপার যখন জিজ্ঞাসা করেন, সে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেয়েছে কীনা এমন কাজ করে? চোর বলে যে, অবশ্যই। ঈশ্বরের আশীর্বাদেই সে এই কাজ করার সাহস পেয়েছে। এই কথা শুনে পুলিশ সুপার অবাক। আর বাকি সবাই তো হেসেই চলেছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর