মানবিকতার নজির,ইঞ্জিনে ডিম-সহ পাখির বাসা ট্রাক চালু করেননি চালক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  সব নিমিত্ত মাত্র।এমনি এক মানবিকতার ঘটনা এল প্রকাশ্যে। ঘটনাটি হল ইঞ্জিনে ডিম-সহ পাখির বাসা দেখে আর ট্রাক চালু করতে পারেননি তুরস্কের ট্রাকচালক বাহাতিন গুরসি। ডিম ফুটে বাচ্চাগুলি উড়ে যাওয়া পর্যন্ত ট্রাক নড়বে না,এমনই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও সেই ট্রাকই তার একমাত্র আয়ের উৎস।

প্রসঙ্গত তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছেই একটি ছোট্ট শহরে বাড়ি বাহাতিন গুরসির।বাহাতিনের সংসার চলে ট্রাক চালিয়ে।এ বছর ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরেন বাহাতিন। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় রেখে দেন তাঁর ট্রাক। তখনই ট্রাকের ইঞ্জিনে বাসা বাঁধে একটি ছোট্ট মা পাখি। সেই বাসায় পাড়ে ডিমও।ছুটি শেষে ট্রাক নিয়ে বের হতে গিয়েই প্রথম তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করেন। ট্রাকের ইঞ্জিনে দেখেন আস্ত একটি পাখির বাসা। তিনি বোঝেন ট্রাক চালু করলেই ইঞ্জিনের ঝাঁকুনিতে ভেঙে যাবে বাসা। নষ্ট হবে ডিম। তখনই মনস্থির করে ফেলেন বাহাতিন।

ঠিক করেন যত দিন না ডিম ফুটে বাচ্চাগুলি বড় হয়ে উড়ে যাবে না, তিনিও ট্রাক চালাবেন না। তার এই সিদ্ধান্তে সহমত হল তার পরিবারও।৪৫ দিন বাদে বাচ্চাগুলি উড়তে শিখলে তাদের নিয়ে বাসা ছেড়ে উড়ে যায় মা পাখি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বাহাতিন। এত দিন ট্রাক না চলায় আয় বন্ধ ছিল তাঁর। ফিরিয়ে দিয়েছেন মোটা টাকার ভাড়ার বায়নাও। তাই এবার ট্রাক নিয়ে আবার বের হতে উৎসাহী তিনি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে বাহাতিনের এই মানবিকতার কাহিনী প্রকাশ্যে আসে। প্রশংসার ঝড় বইতে থাকে।

সম্পর্কিত খবর