ইতিহাসে এই প্রথমবার! ডাইনোসরের ডিমের মধ্যেই আরেকটি ডিমের খোঁজ মিলল ভারতে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ডাইনোসরদের নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ চলে আসছে। পাশাপাশি, সাধারণ জনমানসেও এই দৈত্যাকার জীবকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। এককালে পৃথিবীজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো এই প্রাণীর অস্তিত্ব এখন আর নেই। তবে, এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে একাধিক তথ্য উপস্থাপিত হয় বিভিন্ন আবিষ্কারের মাধ্যমে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার মধ্যপ্রদেশ থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, এখানে পাওয়া গেছে ডাইনোসরের অদ্ভুত ডিম। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট গবেষকরা এটিকে “অত্যন্ত বিরল” বলে বর্ণনা করেছেন। মনে করা হচ্ছে যে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই জীবাশ্মটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মূলত, এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র ডাইনোসরের ডিম আবিষ্কৃত হলেও এবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে ডিমের ভেতর ডিমের (egg-in-egg) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এটি আবিষ্কার করেছেন। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত গবেষণার প্রতিবেদনটি সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালের নতুন সংস্করণেও প্রকাশিত হয়েছে। খবর অনুযায়ী, এই অস্বাভাবিক ডিম সহ মোট ১০ টি ডিমের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, এই বিরল ডিমটিতে দু’টি বৃত্তাকার স্তর রয়েছে। যেটি দু’টি অংশকে বিভক্ত করেছে। এমতাবস্থায়, বড় ডিমটি প্রায় ১৬.৬ সেমির। অপরদিকে, ছোট ডিমটি হল ১৪.৭ সেমির।

মূলত, মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় এই বিরল টাইটানোসোরিড ডাইনোসরের ডিম পাওয়া গেছে। এরপর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এই বিশেষ ডিম ডাইনোসরের প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশদে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরের প্রজনন কচ্ছপ, টিকটিকি, পাখি এবং কুমিরের মতোই হতে পারে। এদিকে, দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলটি উচ্চ ক্রিটেসিয়াস লামাটা গঠনকারী ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কারের জন্য পরিচিত। পাশাপাশি, পশ্চিম ভারতেও ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

titanosaurid dinosaur,dinosaur,Egg,egg-in-egg,Delhi University,researchers,Madhya Pradesh,India,National,discovery

ইতিমধ্যেই, ধর জেলার বাগ শহর সংলগ্ন পাদালিয়া গ্রামের কাছে ডাইনোসরের ডিম থেকে শুরু করে কঙ্কাল পর্যন্ত প্রচুর সংখ্যক টাইটানোসরিড ডাইনোসরের জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, টাইটানোসোরিড ডাইনোসর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা ছিল বলে জানা যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর