বাংলা হান্ট ডেস্ক: যখনই স্মার্টফোনের বাজার নিয়ে কথা হয়, তখন অবশ্যই চলে আসে ভারতের (India) প্রসঙ্গ। কারণ, ভারতে স্মার্টফোনের বিরাট বাজার রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি কোম্পানিই ভারতে প্রবেশ করতে চায়। এমতাবস্থায়, স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যেখানে মোবাইল চিপ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখনওপর্যন্ত এই বাজারে চিন ও আমেরিকার আধিপত্য বজায় রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনেরও চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, এত কিছুর পরও ভারতীয় কোম্পানিগুলির স্মার্টফোনের চাহিদা নেই। তবে, এখন সরকার এমন একটি পরিকল্পনা করছে যার অধীনে ভারতীয় মোবাইল চিপ চালু করা যেতে পারে।
বড় পদক্ষেপ ভারতের (India):
ভারতীয় চিপ আনার কাজ চলছে: এই কাজটি ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক (MeitY) এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) করছে। সবথেকে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় হল এখন উভয় বিভাগই এই বিষয়ে একত্র হয়েছে। অর্থাৎ, দু’দিক থেকে মোবাইল চিপের কাজ চলছে। মূলত, “আত্মনির্ভর ভারত’-এর আওতায় এই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রকের এক উচ্চ আধিকারিক ইকোনমিক টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, ভারতীয় (India ) চিপগুলির সাহায্যে স্মার্টফোনের বাজার একটি বুস্ট পেতে পারে। এছাড়াও, এই পদক্ষেপের সাহায্যে স্মার্টফোনের চাহিদায় ভারতীয় চিপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতীয় চিপ নিয়ে কী জানিয়েছেন সচিব কৃষ্ণান: বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের সচিব এস কৃষ্ণান, ET কংগ্রেসে জানিয়েছেন, “আমরা যখন ভারতে (India) মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কথা বলছি, তখন মোবাইল ফোনের চিপসেটের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই দিকে, আমরা টেলিকম বিভাগের (DoT) সাথে একসাথে কাজ করছি। এর পাশাপাশি MeitY (ইলেক্ট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক) ‘ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন’ এবং ‘ডিজাইন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম’-এর অধীনে এটিকে সমর্থন করছে।”
বাজেটে সেমিকন্ডাক্টরের ওপরেও ফোকাস ছিল: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত (India) এবারের বাজেটে সেমিকন্ডাক্টরের দিকে নজর দিয়েছে। এই সেক্টরের বাজেট ৮৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এইভাবে, সেমিকন্ডাক্টরের বাজেট বেড়েছে প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা। যেখানে মোবাইল ফোনের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনিশিয়েটিভ (PLI) স্কিমের বাজেট ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৯,০০০ কোটি টাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারও যে এদিকে যথেষ্ট নজর দিচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে, চিনের সেমিকন্ডাক্টর বাজেট প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা। যা ভারতের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন: SBI-র গ্রাহকদের জন্য সুখবর! এবার সহজেই হয়ে যান মালামাল, বড় পদক্ষেপ ব্যাঙ্কের
AI সাপোর্ট যুক্ত সেমিকন্ডাক্টর চিপ: জানিয়ে রাখি, সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি AI-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে চলেছে। এর সাহায্যে, AI অ্যাপ্লিকেশনগুলিকেও প্রচার করা যেতে পারে। কৃষ্ণনের দিক থেকেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, “এই AI অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে অনেকগুলি টেলিকমের সাথে যুক্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করবে, ডেটা একত্র করবে এবং এটি একটি নির্বিঘ্ন প্রক্রিয়া হবে। যা সবকিছুকে সংযুক্ত রাখবে।” এর মানে ভারত সরকারের স্কিমও এর থেকে লাভবান হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাবা অটো রিকশা চালক! ডোমেস্টিক ক্রিকেট না খেলেই দাপট IPL-এ, কীভাবে ভিগনেশকে খুঁজে পেল MI?
ভারতে চাকরি কি প্রভাবিত হবে: ভারতে (India) AI-এর কারণে চাকরি কি প্রভাবিত হবে? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে রয়েছে। কৃষ্ণান এই বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি জানান যে, AI-এর কারণে ভারতে চাকরিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ এখানে খুব কম হোয়াইট কলার জব আছে। অফিসের কাজ এখানে কম দেখা যায়। এই মুহূর্তে AI প্রতিদিন এই রকম কাজগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে বর্তমানে ভারতের বাজারে এর প্রভাব কম পড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।