অভিনব! সূর্যের আলো ছাড়াই সৌর শক্তি তৈরি করতে সক্ষম প্যানেল আবিষ্কার এই ছাত্রের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময় যতই এগোচ্ছে ততই পাল্টাচ্ছে মানুষের চাহিদা। আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেই সব চাহিদা পূরণ করতেই দিন-রাত এক করে নতুন সব আবিষ্কার করে চলেছেন একদল মানুষ। যে সমস্ত আবিষ্কার রীতিমতো আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে মানবজীবনে।

আমরা সকলেই জানি যে, সূর্য হল সকল শক্তির উৎস। যে কারণে সৌর শক্তিকে বিভিন্ন কাজে লাগাতে বহুদিন ধরেই চেষ্টা করছে মানুষ। তবে, সেই পথে হেঁটেই সাফল্য পেয়ে ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, তা ব্যবহারিক প্রয়োজনে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

প্রথমত, এটি ব্যয়বহুল। দ্বিতীয়ত বড় কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল লাগাতে প্রচুর জায়গার প্রয়োজন এবং সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হল মেঘলা দিনে এই প্যানেল এক্কেবারে নিষ্ক্রিয়। এমতাবস্থায়, এই সব প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠে এবার ফিলিপাইনের একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট এমন একটি নতুন ধরণের সোলার প্যানেল তৈরি করেছেন যেটিতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সূর্যালোকের প্রয়োজন হয় না।

অবাক মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক জিনিস তৈরি করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে যে, ফিলিপাইনের মাপুয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র কারভে ইহরেন মাইগু এই অভিনব সৌর প্যানেলগুলি তৈরি করেছেন যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শোষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই পুরো সিস্টেমটিকে নাম দেওয়া হয়েছে AuREUS। এগুলি ঘন মেঘলা দিনেও শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে।

এই সোলার প্যানেলগুলি বর্তমানে প্রোটোটাইপের পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি এগুলি ৩×২ ফুট স্ট্রাকচারে তৈরি করা হয়েছে যা মাইগুয়ের অ্যাপার্টমেন্টের জানালাতে ইনস্টল করা আছে। শুধুমাত্র এই প্যানেলটিই প্রতিদিন দু’টি ফোন চার্জ করার জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এছাড়াও, গঠনগত দিক থেকে প্যানেলের ফিল্মটি নমনীয় এবং রজন দিয়ে তৈরি। এছাড়াও, এটিকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

james dyson sustainability award carvey ehren maigue aureus 1

জানা গিয়েছে যে, AuREUS প্যানেলগুলি তৈরি করার জন্য ফল এবং উদ্ভিদের বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত আলোকিত কণা ব্যবহার করেছিলেন মাগুই। এগুলিই সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে সেগুলিকে দৃশ্যমান আলোতে পরিণত করে। পরবর্তীতে এই আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই অভিনব আবিষ্কারটি ইতিমধ্যেই জেমস ডাইসন ফাউন্ডেশন থেকে সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর