দিল্লীতে এখনও জমায়েত হাজার হাজার শ্রমিক, কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশ জুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন (Lockdown) অবস্থা। গৃহিবন্দি সকলেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দিল্লীতে (Delhi) দেখা গেল এক অন্য চিত্র। দিল্লীর আনন্দবিহারে একত্রিত হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক এবং তাঁর স্ত্রী, সন্তানরা। তাঁরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে এসে কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকত। এখন লকডাউন অবস্থা জারী হওয়ায় তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে বিপাকে পড়েন।

সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও সামনে এসেছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল হাজার হাজার শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য পায়ে হাঁটার পন্থা অবলম্বন করেছেন। কারোর পকেটে ছিল খুব সামান্য টাকা, আবার কারোর পকেট ছিল শূণ্য। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুলিশ তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল।

কিন্তু এখন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা চাইছে বাইরে থেকে না খেয়ে মরার থেকে বাড়িতে গিয়ে মরা ভালো। অর্থাৎ তাঁরা এখন ঘরে ফিরতে চাইছে। আর সে কারণেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের আনন্দবিহারে একসঙ্গে জমায়েত করে তাঁরা। এবং সরকারের কাছে আর্জি জানায়, তাঁদের যেন বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। করোনার আতঙ্কে আর সকলের মতই তারাও চায় ঘরে গিয়ে গৃহবন্দি হয়ে সুস্থ থাকতে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই শ্রমিকদের জন্য রাস্তার ধারে তাঁবু টানিয়ে তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা সরকারি ভাবে করে দেওয়া হবে।

শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য প্রথমে ১০০০ বাসের ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁর পাশাপাশি, দিল্লী সরকারও ১০০ বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সেইসব বাস ধরে বাড়ি ফেরার জন্যই শ্রমিকরা ভিড় জমান বাস টার্মিনাসে। সাধারণ সময় যে বাসে করে ৫০-৬০ জন যাতায়াত করতেন, এখন সেই বাসে একসঙ্গে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ চড়ে বসেছেন। সকলের একটাই কথা, এখানে থাকলে না খেয়ে মরব, তাঁর থেকে বাড়ি চলে যাওয়া অনেক ভালো। তবে এই শ্রমিকদের বিষয়ে এখন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন। তাঁর নাগরিকদের প্রতি সেবার এখন কোথায় গেল, তা নিয়েও কেউ কেউ এখন প্রশ্ন তুলছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর