নারী দিবসেই নিরুদ্দেশ বাঘিনী! খুঁজতে গিয়ে কাল ঘাম ছুটছে বন দপ্তরের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক বাঘিনীকে (Tigress) নিয়ে শোরগোল পরে গেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhyapradesh)। শুক্রবার এই বাঘিনীকে মধ্যপ্রদেশের মাধব জাতীয় উদ্যানে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগে নিরুদ্দেশ (Missing) হয়ে গেল সে। প্রয়াত প্রাক্তন মহারাজা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বাবা মাধব রাও সিন্ধিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটি বাঘ ও দুটি বাঘিনীকে মধ্যপ্রদেশের মাধব জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হবে।

কিন্তু সেই কর্মসূচির আগে জানা যায় দুটির মধ্যে একটি বাঘিনীর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল। বন দপ্তর সূত্রে খবর, অনেক চেষ্টা করেও তারা হারিয়ে যাওয়া বাঘিনির কোনো সন্ধান পায়নি। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একটি বাঘ ও একটি বাঘিনীকেই জঙ্গলে ছাড়ার। জানা গেছে যে বাঘিনীটি নিখোঁজ হয়েছে সেটি পান্না টাইগার রিজার্ভের বাসিন্দা ছিল।

সেই টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর বিজেন্দ্র ঝা বলেছেন, ওই বাঘিনীটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না গত দুদিন ধরে। গত ৮ই মার্চ ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় একটি বাঘ ও একটি বাঘিনীকে। এরপর আরও একটি বাঘিনীকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন হাজার খোঁজার পরেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই খবর সামনে আসার পর বনাধিকারীক ও বন কর্মীদের কাল ঘাম ছুটে গিয়েছে। তারা ওই বাঘিনীটিকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Tigress,Missing,Madhya Pradesh,Bangla,Bengali,Bengali News,Bangla Khobor,Bengali Khobor

 

মধ্যপ্রদেশের মাধব জাতীয় উদ্যানে কোনো বাঘ বা বাঘিনী গত ২৭ বছর ধরে রাখা হয়নি। কিন্তু এখানে উপযুক্ত বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রয়েছে বাঘের বসবাসের জন্য। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নতুন করে এই বনাঞ্চলে বাঘ ছাড়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বন দপ্তর হতাশ। তবে সবার মনে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল যে ওই বাঘিনীটি কোথায় গেল? যদি এই বাঘিনী লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তাহলে চূড়ান্ত বিপদ ঘটবে। অপরদিকে এই বাঘিনীটির সাথে কোন রকম অঘটন ঘটেছে কিনা সেই নিয়ে চিন্তিত সবাই।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর