ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে হামলার পেছনে রয়েছে বাংলার তৃণমূল কর্মীরাই, দাবি বিজেপির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশকিছুদিন ধরেই তার ত্রিপুরা সফর সম্পর্কে জল্পনা ছিল দুই রাজ্যের রাজনীতিতে। অবশেষে আজ সকালে ত্রিপুরা পৌঁছান তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)। সফরের শুরুটা অবশ্য মোটেই ভালো হয়নি তৃণমূলের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার জন্য। আজ ত্রিপুরায় পা রাখার পরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই সফরেই যথেষ্ট বাধা বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয় অভিষেককে। এদিন কার্যত বিজেপির (BJP) পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

   

একদিকে যেমন ভাঙচুর চালানো হয় তার গাড়ির উপর। তেমনি অন্যদিকে তাকে ঘিরে ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। শুধু মন্দিরে পৌছানোর সময় নয়, সকাল দশটা নাগাদ ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখার সময়ও বিক্ষোভের মুখে পড়েন অভিষেক। সেখানেও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। তার গাড়ির ওপর ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও এদিন নিজেই টুইট করেন অভিষেক। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তার গাড়ির উইন্ড স্ক্রিনের উপর নেমে আসছে লাঠির আঘাত। টুইটে অভিষেক লিখেছিলেন, “বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের ছবি। অসাধারণ বিপ্লব দেব (Biplab Deb), ত্রিপুরাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।”

অবশ্য এই আক্রমনকে বিজেপি কর্মীদের করা বলে মানতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে টুইটারে লেখা হয়, “পশ্চিমবঙ্গে যেকোনো বিরোধী দলীয় নেতার কাছে, এ ধরনের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এখন দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের হিংস্র কর্মীদের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। একদিন বাংলার মানুষও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে একই ব্যবহার করবে।”

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুও (Sayantan Basu)। তিনি বলেন, ‘‘কিছুই হয়নি। আমাদের উপরে এমন রোজই হয়। আর ওঁরা বাংলার বাইরে যেখানে যাবেন, সেখানেই এমন হবে। বাংলায় যে সন্ত্রাস চলছে, তাতে গোটা দেশের বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের উপরে ক্ষেপে রয়েছেন।’’ অন্যদিকে ত্রিপুরায় বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্য বিজেপির এ ধরনের আলাদা কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কেউ জনরোষের মুখে পড়লে তাদের তো কিছু করার নেই।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর