‘মাটি খুবই শক্ত..,’ স্ত্রীর ছবি আর পাশে মেয়েকে নিয়ে মমতা-অভিষেকের নামে পুজো, কি বললেন অনুব্রত?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ওরফে কেষ্ট তিহার জেল থেকে বেরোলেও বঙ্গ রাজনীতিতে আজও কমেনি তাঁর দাপট। তবে আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে তাঁর মন্তব্যের ঝাঁজ। চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আগেই তিহার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মেয়েকে নিয়ে তারাপীঠের মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন তিনি। আর মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে হাতে স্ত্রীর ছবি নিয়ে পুজো দিয়েছেন মেয়ের সাথেই।

মমতা-অভিষেকের মঙ্গলকামনায় অনুব্রত (Anubrata Mandal)

দেশের ৫১ সতীপিঠের মধ্যে অন্যতম পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যা মায়ের মন্দির। দেবীর কাছে কি প্রার্থনা রাখলেন তা অবশ্য তিনি এদিন স্পষ্ট না করেন নি। তবে নিজের খাস তালুকের তৃণমূল কর্মীদের প্রধান অভিভাবক হয়ে থাকতে অনুব্রত (Anubrata Mandal) যে মরিরা তা তিনি এদিন নিজের বক্তব্যেই আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

একসময় বীরভূম অনুব্রত মণ্ডল গড় বলে পরিচিত ছিল। তবে পরবর্তীতে সেখানে কাজল শেখ বীরভূমের মাটিতে রাজনৈতিক আধিপত্য অনেকটাই কায়েম করে বসেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠেছে অনুব্রত-কাজল দ্বন্দ্ব। মায়ের মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল এদিন দাবি করলেন তিনি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট কেতুগ্রাম ও আউশগ্রাম বিধানসভার তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকবেন।

আরও পড়ুন: ‘অনেকখানি ডিএ..,’ নয়া বছরের শুরুর দিনই DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট

একইসঙ্গে তিনি এদিন বলেন মঙ্গলকোটের মাটি খুবই শক্ত। এই  মাটিতে পা রেখে ভালো লাগছে। প্রসঙ্গত জেলে যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলের মুখের প্রায়ই শোনা যেত’চড়াম চড়াম’ কিংবা ‘গুড় বাতাসা’র মতো বিতর্কিত মন্তব্য। যদিও একবারের জন্য তার মুখে শোনা যায়নি এইসব বিতর্কিত মন্তব্য।

Anubrata Mandal

মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন, ‘কেষ্ট দা যখন তিহার জেলে ছিল তখনও আমাকে যোগাদ্যা মায়ের পুজো দিতে বলেছিলেন। এখন জামিনে মুক্তির পর তিনি মায়ের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা দিবসে পুজো দিতে এসেছিলেন। সবার মঙ্গল কামনায় তিনি দেবীর কাছে পুজো দিয়েছেন।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর