বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সকাল থেকে রাজ্যের চার জেলার ৩০টি আসনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তবে এবারের নির্বাচনে হাইভোল্টেজ লড়াই কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে উঠে আসছে একেরপর এক রাজনৈতিক হিংসার খবর। এমনকি নন্দীগ্রাম লাগোয়া নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিও হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত। সেই মত চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সোহমের (Soham) পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শোনা যাচ্ছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারে হাত ভেঙে গিয়েছে তৃণমূল কর্মী দেবব্রত মণ্ডলের। তাঁকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর।
চণ্ডীপুর (Chandipur) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই লাগাতার উঠে আসছে সংঘাতের খবর। তৃণমূলের পোলিং এজেন্টদেরকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ একাধিক জায়গা থেকে। প্রার্থী সোহম এনিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটি বুথে একদল দুষ্কৃতি বাঁশ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এমনকি একাধিক বুথে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। তৃণমূল কর্মী দেবব্রতের হাত ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ নিয়ে সরব হন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের নিশানায় গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য চণ্ডীপুর কেন্দ্র থেকে নন্দীগ্রামের দিকে এগোলে মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতার (Mamata Banerjee) ভাড়া বাড়ির কেন্দ্র রেয়াপাড়া আসে। সেখান থেকেই তিনি সব জায়গার ভোটগ্রহণের উপর নজর রাখছেন। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাইরে বেরোতে পারেন তিনি। এমনকি এদিন নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরার পরিকল্পনাও পাল্টে ফেলেন তিনি। আজ মমতা নন্দীগ্রামেই থাকবেন বলে খবর। যা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আরও বেশি উৎসাহিত করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের সীতানন্দপুর কলেজের একটি বুথ থেকে। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ একবারেই অস্বীকার করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।