দলের নীচুস্তরের কর্মীদের সঙ্গে পিকের যোগাযোগ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ তৃণমূলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা ভোটে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরের । তারপর থেকে রাজ্যকে নিজেদের আয়ত্তে রাখতে এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একেবারে দলকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ নতুন সংযোজন আনা হয়েছে। আর সেই নতুন সংযোজনের মধ্যে সবথেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করা।

মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা ভোটের পর থেকে একপ্রকার দলের পুরো দায়িত্বটাই প্রায় দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের হাতে। তাঁর কথা অনুযায়ী এখন দলনেত্রী সমস্ত কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এমনকি পিকের কথা ও মতাদর্শ অনুযায়ী বেশ কয়েকটি কাজে রাজ্য সরকারের সাফল্য এসেছে। তার বড় প্রমান রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে হ্যাটট্রিক ফলাফল।

   

খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুর তিন তিনটি বিধানসভায় যেভাবে গেরুয়া বাহিনীর দর্পচূর্ণ করেছে তৃণমূল তার পিছনে অনেকেই অন্যতম কারণ হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের কৌশলকেই বড় করে দেখছেন। প্রথম পরীক্ষায় পাশ করলেও এবার পালা পুর নির্বাচন। তাই তো প্রথমে দিদিকে বলোর পরে এবার পুরভোটের দিকে তাকিয়ে প্রশান্ত কিশোর কি কি কৌশল নিতে চলেছে তা জানতে একপ্রকার উদ্গ্রীব সকলেই।

কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও পিকের সঙ্গে কিন্তু দলের উচু স্তরের কর্মীদের ভাব হলেও বা ভালো সম্পর্ক হলেও নীচু স্তরের কর্মীদের দূরত্ব রয়েইছে। আর তাই সেই নীচুস্তরের কর্মীদের মধ্যে সমস্ত ভেদাভেদ দূর করতে দলের তরফেই নেওয়া হচ্ছে এক অভিনব ব্যবস্থা। একটি ছোট দলীয় বৈঠকের মাধ্যমে পিকের সঙ্গে দলীয় ছোটস্তরের কর্মীদের সমস্ত ভেদাভেদ মুছে দিতে ছাইছে শাসক শিবির।

তাই এবার থেকে দলের তরফে যেকেনো ছোট বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরকে বাক্যালাপ ও তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এগিয়ে দেওয়া হবে। যদিও আগে প্রত্যেক সপ্তাহে জেলাওয়ারির বৈঠকে পিকে উপস্থিত থাকলেও তিনি কার্যত নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করপতেন। দলীয় কার্যকলাপ শুনে ফিরে যেতেন।

কিন্তু এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির জন্য যেভাবে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তাতে জেডিইউ নেতা নিজে সক্রিয় মনোভাব দেখিয়েছেন। কিন্তু দলীয় নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব অব্যাহত। আর তাই তো প্রতিটি দলীয় ছোট বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরকে হাজির করা হচ্ছে।

দেখা যাচ্ছে সেই বৈঠকে নীচু স্তরের কর্মীরা নাকি উত্সাহও পাচ্ছেমন। এবং এতে দলের অন্দরে জনসংযোগ বাড়ছে। আসলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে কোনো কিছুতেই খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

সম্পর্কিত খবর