কোটি টাকার লটারি জিতেও শান্তি নেই, খুনের আশঙ্কায় থানার দ্বারস্থ কিশোর ও তাঁর পরিবার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভাগ্যে থাকলে কী না হয়? তবে সিনেমা এবং স্বপ্নে যেমন কথা মিললেও বাস্তবে কিন্তু খুব কম সময়ই মেলে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার রাতারাতি লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা কিংবা রাতারাতি ভিখারি থেকে কোটিপতি হয়ে যাওয়া এসব সিনেমা এবং গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু রাতারাতি যে সত্যিই ভাগ্যে থাকলে বড় হওয়া যায় তার প্রমাণ মিলল এবার বাস্তবে। হ্যাঁ লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন মাত্র বছর চোদ্দোর এক কিশোর।

ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর। নবম শ্রেণির পড়ুয়া কথা পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী গ্রামের বাসিন্দা সুদেব দাস হঠাত্ খেলার ছলে একটি লটারির টিকিট কিনে নেয় আর তার পর শনিবার সে জানতে পারে এক কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছে। টাকা যে তার কথা শুনে রীতিমতো আনন্দে নেচে উঠেছিলেন তিনি আর কেনই বা হবে না? মধ্যবিত্ত পরিবারের এক কোটি টাকা মানে ভগবানের দেখা পাওয়া তবে টাকা পেয়ে আনন্দ পেলেও বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না। কোটি কোটি টাকা পেয়েও ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে দু দিন থানায় রাত কাটাতে হল। খুনের ভয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে।

আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানা গিয়েছে তাঁর কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার খবর গোটা গ্রামেই ছড়িয়ে গিয়েছে তাই টাকা যদি ছিনতাই হয় এই ভয়ে প্রাণ সংশয় হতে পারে এমনটা আশঙ্কা করেই বাবাকে নিয়ে , পূর্বস্থলী থানায় হাজির হয় সুদেব। এরপর সোমবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে টিকিট জমা দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেও সুদীপ ও তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে পূর্বস্থলী কাষ্ঠশালী গ্রামের বাসিন্দা সহদেব দাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি তাঁর স্ত্রী তাঁত বোনার কাজ করে অত্যন্ত কষ্ট করে সংসার চালান।

মাঝে মাঝে সুদেব তাঁর বাবাকে সাহায্য করতে চান তবে এমনিই কোনও কিছু না ভেবে শনিবার দুপুরে মাত্র ত্রিশ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কিনে এক কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। সুদেব দাসের টিকিট কাটার পর টাকা জেতার খবর শুনে অনেকেই তাঁর বাড়িতে দেখা করতে চলে এসেছিলেন আর তাই চিন্তা বেড়ে যেতে সুদেব ও তাঁর বাবা পূর্বস্থলী থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।

সোমবার পুলিশি নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই টিকিট জমা করে আসেন সুদেব ও তাঁর বাবা। যদিও এই প্রথমবার নয় সুদেব জানিয়েছে এর আগেও নাকি বেশ কয়েকবার এই অভাবের কথা মাথায় রেখে টিকিট কেটেছিল সে। কিন্তু এ বার সে সাফল্য পেয়েছে এবং পুরো ক্রেডিট টাই দিয়েছে ভগবানের কাছে।

সম্পর্কিত খবর