‘আবার এসো মা’, সিঁদুর খেলা, বিসর্জনের সুরে জল ভরা চোখ নিয়ে আসে বিজয়া দশমী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ বিজয়া দশমী (Bijoya Dashami), বাপের বাড়ি ছেড়ে উমা এবার যাত্রা করবে কৈলাশের পথে। বিজয়া মানেই মায়ের যাবার পালা। সারাটা বছর অপেক্ষার পর পুজোর এই ৫ টা দিন যেন মাকে কাছে পেয়েও মন ভরে না। তাই মায়ের যাবার বেলায় সকলেরই চোখ জলে ভরে ওঠে। মায়েরও যেন ছলছলে চোখ দেখতে পায় সন্তানরা।

   

দশমী তিথি- এবছর বিজয়া দশমীর তিথি শুরু হচ্ছে বাংলার ২৭ শে আশ্বিন ইংরেজি ১৪ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৬ টা বেজে ৫৪ মিনিটে এবং তিথি থাকছে বাংলার ২৮ শে আশ্বিন ইংরেজি ১৫ ই অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩ মিনিটে।

আজ মায়ের ফিরে যাবার দিন। বিদায় বেলায় বাঙালীর মন হয়ে ওঠে বিষাদপূর্ণ। আবার চলবে বছর ভোর মায়ের জন্য অপেক্ষা। আসছে বছর আবার মা আসবেন তাঁর বাপের বাড়িতে। আজকের বিশেষ আকর্ষণ হল সিঁদুর খেলা। সিঁদুরের রঙে মেতে রঙিন হয়ে যায় বাঙালীর মন। প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে মায়েদের সিঁদুর খেলা, প্রতিমা বরণ সব মিলিয়ে বিদায়ের প্রস্তুতি পর্ব চলে। আজ সন্ধ্যায়ও চলে মাতাল করা ধুনুচি নাচ।

প্রতিমা বরণের পর ধুনুচি নাচের শেষে এই বার মায়ের বিদায় পালা। চারিদিকে রব ওঠে ‘বলো দুগগা মাই কি, জয়’। ‘আসছে বছর আবার হবে’।

আজকের এই দিনটিকে ‘বিজয়া’ বলার পেছনে একটি পুরাণ বর্ণিত কারণ আছে। পুরাণ অনুসারে, ৯ দিন এবং ৯ রাত্রি টানা যুদ্ধের পর দশম দিনে মা দূর্গা বধ করেন মহিষাসুরকে। সেই কারণে অন্তিম দিনটি ‘বিজয়া’ নামে পরিচিত।

উত্তর এবং মধ্য ভারতে এই দিনে পালিত হয় দশেরা (Dussehra) উৎসব। যদিও এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ পৃথক। বলা হয়, রামচন্দ্র আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে রাবণকে বধ করেছিলেন। এরপর এই মাসেরই ৩০ তম দিনে রামচন্দ্র, মাতা সীতা এবং লক্ষণ অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করেন। রামচন্দ্রের রাবণ বধ এবং অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের উপলক্ষ্যে দশেরা ও দীপাবলি উৎসব পালিত হয়ে থাকে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর