বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর নিয়ে চলছে মামলা। এই আবহেই রাজ্যে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। রাজ্য পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী ভবানী ভবন। ইতিমধ্যেই এই মর্মে ভবানী ভবন থেকে প্রস্তাব গিয়েছে নবান্নে (Nabanna)। সূত্রের খবর, নবান্ন তরফে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা স্তরে পুলিশ সুপার বা কমিশনারেট এলাকায় নগরপালের অধীনে সিভিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের শুরুতে জানুয়ারি থেকেই এই প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে। জানা যাচ্ছে, আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী অবস্থান নেয় তা দেখেই রাজ্য কোনো পদক্ষেপ নেবে।
প্রসঙ্গত, বিগত বহু সময় ধরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘দাদাগিরি’র নানা নিদর্শন সামনে এসেছে। সম্প্রতি আর জি কর ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর জি কর (RG Kar) মামলার শেষ দুই শুনানিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভৎসর্নার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
গত ৯ অগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-, খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারপর থেকে সিভিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর জি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চায়, রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মরত এবং তাদের নিয়োগ কী ভাবে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে রাজ্য তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।
এর মাঝেই রাজ্য সরকার প্রায় এক লক্ষ ১৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে তাদের এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও রাজ্য স্তরে সেরম কিছু হয়নি। সূত্রের খবর, ভবানী ভবনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইনের পাঠ, নিয়ম-শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়া হবে সিভিকদের। পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে ব্যবহার শেখানো, জরুরিকালীন পরিস্থিতি তাদের কি করতে হবে এই সমস্তই ট্রেনিং-এ শেখানো হবে। এরই পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ইউনুস ভালো জবাব দিয়েছেন …’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। খুনের ঘটনায় তার যোগ নিয়ে একাধিক প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে সিবিআই চার্জশিটে। আর জি কর মামলার শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। তাই এবার রাজ্যের তরফে সিভিকদের ট্রাফিক-সহ নিরাপত্তার কাজে তাদের লাগানোর উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।