কাশ্মীরে পাকিস্তানের হয়ে স্লোগান তোলা হুরিয়তের সদর দফতরেও এখন উড়বে জাতীয় পতাকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হুররিয়াত কনফারেন্সের (All Parties Hurriyat Conference) সদর দফতরের গেটে তেরঙ্গা! অবিশ্বাস্য লাগলেও একথা সত্যি। যেখানে তিন বছর আগেও সাধারণ কাশ্মীরিরা তেরঙ্গা নিয়ে কাশ্মীরে অবাধে বিচরণ করার কথা ভেবেই ভয় পেত সেখানে এখন তেরঙ্গা শুধু কাশ্মীরের রাস্তায় নয়, হুরিয়াত কনফারেন্সের সদর দফতরেও রাখা হয়েছে।

   

বুধবার কাশ্মীরি হিন্দু ডঃ সন্দীপ মাওয়া ও তার সঙ্গীরা হুরিয়াত কনফারেন্সের সদর দফতরের গেটে তেরঙ্গা রেখে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব সম্পর্কে প্রচার শুরু করেন। প্রসঙ্গত, মিরওয়াইজ মৌলভি উমর ফারুকের নেতৃত্বে মধ্যপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্সের সদর দপ্তর রয়েছে রাজবাগ, পাশ কলোনি, শ্রীনগরে।

জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট থেকে যে দপ্তর বন্ধ ছিল ইতিমধ্যেই ডক্টর সন্দীপ মাওয়া সেই সদর দপ্তরের বাইরে হাজির হন। শুধু তাই নয়, তিনি হুররিয়াত সদর দফতরের গেটে দুটি তেরঙ্গা লাগিয়ে দেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ শেষের পথে। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সাথে সাথেই কাশ্মীরে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। সেই জন্যই প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে তেরঙ্গা উত্তোলনের স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আজ এখানে তেরঙ্গা লাগিয়েছি।”

দুবার সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ডঃ মাওয়া বলেছেন, হুররিয়াত কনফারেন্স পাকিস্তানের নির্দেশে দেশের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দিয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসকে আরোও বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মাওয়ার কথায়, এত কিছু সত্ত্বেও তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের সাধারণ মানুষ কাশ্মীরিদের তাদের বন্ধু ও ভাই হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাশ্মীর পুনর্গঠন ফ্রন্টের সভাপতি ড. সন্দীপ মাওয়া বলেছেন যে, হুরিয়াত সদর দফতরে তেরঙ্গা লাগানোর মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে চাই যে সাধারণ কাশ্মীরিরা এই তেরঙ্গার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। স্বাধীনতা দিবসের সময় আপনারা এখানে প্রতিটি বাড়িতে তেরঙ্গা দেখতে পাবেন। হুরিয়ত সদর দফতরে তেরঙ্গা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিজয়ের প্রতীক।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর