মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে জায়গা না পাওয়ায় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি! চলল গালিগালাজও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর হয়ত এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। আরেকদিকে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে শাসক দলের একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এই নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল।

একদিকে দলে ভাঙন আরেকদিকে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ওনার সভাতেই দলের নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল ধরা পড়ল। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় মঞ্চে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি দেখা গেল রায়গঞ্জে।

গতকাল রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। আর সেই সভার জন্য তিনটি মঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। প্রধান মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কানাইয়া লাল অগরওয়াল এবং গৌতম দাস। এছাড়াও দুই জেলা এবং রাজ্যের প্রথম সারির তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা মূল মঞ্চে ঠাই পেয়েছিলেন।

আর বাকি দুটি মঞ্চে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতা-নেত্রী এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার পর উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কানাইয়া লাল অগরওয়াল এবং শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির মধ্যে তুমুল বচসা বেঁধে যায়। সুত্রের খবর মঞ্চে ছোট নেতাদের জায়গা না দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন গোলাম রব্বানি।

দুজনের বচসায় গালিগালাজ হয় বলেও জানা যায়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের বিরুদ্ধে কানাইয়া লাল এবং গোলাম রব্বানি দুজনাই সরব হন। রব্বানি বলেন, অমল আচার্য দলের অন্দরে অনেক কাঠি করছে। আরেকদিকে, অমল আচার্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে চেঁচামিচি শুরু করে দেন। এরপর সেখানকার আবহাওয়া আরও গরম হয়ে ওঠে।

Avatar
Baisakhi Dutta

সম্পর্কিত খবর