নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, পলাতক অভিযুক্ত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রক্ষকই ভক্ষক! যতদিন যাচ্ছে বাংলার (West bengal) তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও প্রকাশ্যে আসছে। আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জী (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, কোন দুর্নীতি গ্রস্থকেই তিনি দলে রাখবেন না। কিন্তু একি, এখানে তো একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।

   

অভিযোগ ঘর্ষণের
কখনও রেশন কেলেঙ্কারি, তো কখনও ক্ষতিপূরণ বিভ্রাট, এখন তো সবকিছুর উর্দ্ধে গিয়ে ফের উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। এবার মাদারিহাটের তৃণমূলের উপ-প্রধান প্রদীপ সূত্রধরের নামে উঠল নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। বছর ৪ আগে এক আদিবাসী নাবালিকাকে তাঁর বাবা মা মাদারিহাটের তৃণমূলের উপ-প্রধান প্রদীপ সূত্রধরের কাছে নিরাপদে রেখে নেপালে যান কাজের সন্ধানে।

অভিযোগ জানায় নাবালিকা
নাবালিকার বাবা মাকে তাঁর সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করেও, শেষ পর্যন্ত তিনিই হয়ে উঠলেন ভক্ষক। এই চার বছরে তাঁর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে বহুবার ধর্ষণ করেছন নাবালিকাকে। এমনকি ওই ১৫ বছরের নাবালিকা দুবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও, তাঁর গর্ভপাত করায় ওই অভিযুক্ত তৃণমূলের উপ-প্রধান। শেষে এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাদারিহাট থানায় তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ জানায় নাবালিকা।

উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়
পরিস্থিতি গরম হচ্ছে আঁচ করতে পেরে সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। বারংবার তাঁকে ফোন করেও, হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সবুজ শিবিরের হওয়ায়, তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পুলিশ।

কি বললেন বাকি সদস্যরা?
ঘটনার পরবর্তীতে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতেই পড়ে গেছেন তৃণমূলের বাকি নেতৃত্বরা। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ নিশ্চয়ই তার তদন্ত করবে। অভিযুক্ত দোষী হলে, আদালত অবশ্যই শাস্তি দেবে। তবে দলে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলচনা করব।’

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর