করোনা তাড়াতে ভিড় জমা করে আজান দেওয়ার আহ্বান করল তৃণমূল নেতা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona) সংক্রমণ রুখতে লকডাউন (lockdown) গোটা দেশ। অত্যন্ত জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখা নিষেধ। সাতজনের বেশি কোথাও জমায়েত মানে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জমায়েত, ভিড় রুখতে পুলিশও অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে সর্বত্র। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেও বারবার রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার কথা বলছেন।

দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। না, এমন পরিস্থিতির সাক্ষী আগে কখনও হয়নি দেশ। রয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হয়েছে। ধর্মীয় জমায়েতেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অথচ এর মধ্যেই একসঙ্গে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে আজান দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল(TMC)নেতার বিরুদ্ধে।

আসানসোলের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ভিডিও শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসানসোলের সাংসদব বাবুল সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসে।

outbreak coronavirus world 1024x506px

আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর আখতার হুসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজনকে আজান পড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, এটাই করোনা ভাইরাসকে রোখার একমাত্র উপায়।

শুধু তাই নয়, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকে একসঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। আর সেই ভিডিও দেখা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। টাইমস নাউ-তে প্রকাশিত সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে অনেকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়ছেন।

এদিকে, সেই ফুটেজ শেয়ার করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। এই এই ধরনের ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ। তিনি লিখেছেন, একদিকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শেখাচ্ছেন। তখন, তাঁরই দলের নেতা এমনটা করছেন। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

namaj

এদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সচেতন করতে এবার পথে নামল ইমামরা। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলার গারুলিয়া পুরসভা এলাকার মোট ৬ টি মসজিদের ইমামরা এদিন পথে নামেন। স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মূলত করোনা সম্পর্কে সচেতনতার পাঠ দিতেই পথে নামেন। যাতে, আজ শুক্রবার তথা জুম্মাবারে মুসলিম ভাইয়েরা কোনও অবস্থাতেই যেন নমাজ পাঠের জন্য বাড়ির বাইরে না বেরোয়, সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

হ্যান্ড মাইক নিয়ে পায়ে হেঁটে গারুলিয়া পুরসভা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করলেন স্থানীয় ৬ টি মসজিদের ইমামরা। ইমামদের এই সচেতনতা প্রচারে উপস্থিত ছিল নোয়াপাড়া থানার পুলিশ কর্মীরাও। এদিন দুপুরে গারুলিয়া পুরসভা এলাকার বিভিন্ন অলিগলি থেকে শুরু করে মেন রোড সর্বত্রই মাইক হাতে প্রচার করেন ইমামরা।

তাঁরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সচেতন করে বলেন, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সকলকে মেনে চলতে হবে। লকডাউন (Lockdown)পরিস্থিতিতে ঘর থেকে বাইরে বেরোনো চলবে না। শুক্রবারের নামাজ পাঠ ঘরেই পড়তে হবে প্রত্যেককে। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততদিন সকলকে সরকারি নির্দেশ মেনে গৃহবন্দী থাকতে হবে।

সম্পর্কিত খবর