ফের তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত নানুর,বোমা-গুলির লড়াইয়ে জখম ৩

নিজস্ব প্রতিনিধি,বোলপুর,বীরভূমঃ বিদ্যুতের তার লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃনমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বোলপুর থানার অন্তর্গত নানুরের বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিমপুর গ্রাম। রাতভর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে বোমা-গুলির লড়াই,চলে মারধর যার জেরে এক মহিলা ও দুইজন পুরুষ আহত হয়। আহত দুই পুরুষকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,স্থানীয় তৃনমূল নেতা কান্ত শেখের অনুগামীদের সঙ্গে তৃনমূল নেতা নজরুল মণ্ডলের অনুগামীদের বৈদ্যুতিক তার লাগানো নিয়ে প্রথমে বচসা বাধে। তারপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি ও গুলির লড়াই। রাতভর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে বোমা ও গুলির লড়াই। যার জেরে আহত হয় তিনজন। জানা গেছে,এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে সেই নিয়ে তৃনমূল নেতা কান্ত শেখের সঙ্গে তৃনমূল নেতা নজরুল মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।

কান্ত শেখের এক অনুগামীর অভিযোগ,‘আমরা লাইনের তার লাগাতে গেলে ইউসুফ মণ্ডল,সেন্টু খান,পটু খান,কাজল খান,এবং সদস্য নজরুল মণ্ডল এরা বোম,বারুদ,গুলি নিয়ে এসে আমাদের উপর চড়াও হয়। প্রায় ৩০ টার মতো বোম ফাটায়। এবং আমাদেরকে চরম মারধর করে। তারা আগে থেকেই আমাদেরকে মারার জন্য বোম,বারুদ রেডি করে রেখেছিল ওরা। আর এই ঘটনার মূল হচ্ছে,নজরুল মণ্ডল। ওর নির্দেশেই সব কিছু হয়েছে। আর ওরা তো সিপিএমের লোক।ওরা তৃনমূলের লোক নয়। ওরা পাপুড়ি গ্রাম থেকে এইখানে এসে জোরজবরদস্তি করে বলছে তৃনমূল করি।’

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নজরুল মণ্ডল। একদিকে আবার একপক্ষ অন্যপক্ষকে বিজেপি করে বলে অভিযোগ তুলেছে। যদিও এই বিষয়ে তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

ঘটনাটির খবর পেয়ে রাতেই বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনো থমথমে এলাকা,চলছে পুলিশি টহলদারি। বাসিন্দাদের চোখে মুখে আতঙ্কের চাপও স্পষ্ট।

সম্পর্কিত খবর