জাল সার্টিফিকেটে হয়েছিল শিক্ষক, বরখাস্ত করেই ১৪ বছরের বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ যোগী সরকারের।

উত্তরপ্রদেশে নকল ডিগ্রি ধারককারী দুই সরকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের ১৪ বছরের বেতন অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে এই শর্ত প্রদান করা হয়েছে। জাল সার্টিফিকেটে চাকরি পাওয়ার কারণে উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার একটি সরকারী বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। বরখাস্ত হওয়া দুই মহিলা শিক্ষক হলেন মীনা যাদব এবং পুনম যাদব। এই তথ্যটি মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯-তে মিডিয়াকে এক আধিকারিকের দ্বারা দেওয়া হয়েছে।

বেসিক এডুকেশন অফিসার সুভাষ চন্দ্র গুপ্ত জানান, ভীখামপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মীনা যাদব চাকরি পেতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর জাল মার্কশিট জমা দিয়েছিলেন। সোমবার বহিষ্কার হওয়া মীনা গুপ্ত ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাকে নিয়োগের দিন থেকেই বেতন পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্য বরখাস্ত শিক্ষক পুনম যাদব পিন্ধারা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন। ২০০৯ সালে নিজের নামে অন্য মহিলার শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র জমা দিয়ে পুনম চাকরি পেয়েছিলেন। যে শিক্ষকের শংসাপত্র তিনি জমা দিয়েছিলেন, তিনি আজমগড়ের একটি সরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন। পুনমও সোমবার বরখাস্ত হন। কর্মকর্তারা তাঁর নিয়োগের পর থেকে প্রদত্ত পুরো বেতন পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা দিয়েছেন। অর্থাৎ চাকরি সময়কালে দুজন যত টাকা বেতন পেয়েছেন পুরোটাই ফিরিয়ে দিতে হবে।

যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন ইউপি সরকার ২০ বছর আগে জাল ডিগ্রি ব্যবহার করে তৈরি শিক্ষকদের বরখাস্ত করেছিল। সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ এ সিনিয়র অফিসার এই তথ্যও দিয়েছেন। বেসিক শিক্ষা অফিসার সুভাষ গুপ্ত বলেছেন, রেবাতি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা নারায়ণজি যাদবের মাজ বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত খবর