যুবতীকে ধর্ষণ করে ভিডিও বানিয়েছিল চার কট্টরপন্থী, যোগী পুলিশ এনকাউন্টারে করলো গুলি।

কয়েকদিন আগে একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছিল, যেটাকে দেশের মিডিয়া ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনা উত্তর প্রদেশের জেলা কাসম্বি এলাকার। যেখানে একটি 15 বছর বয়সী দলিত মেয়ে তিন মুসলিম যুবক দ্বারা গণধর্ষণ হয়েছিল। মেয়েটি মাঠে ঘাস কাটতে গেলে গ্রামের তিন ছেলে তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত তার ভিডিও বানিয়েছিল এবং ভাইরালও হয়েছিল। যদিও বেশিরভাগ মিডিয়া ঘটনাটিকে চাপা দিয়ে দেয়। মেয়ের চিৎকার শুনে আশেপাশের মাঠে কর্মরত কয়েকজন লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছে, তখন অভিযুক্ত দুজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে এবং তাকে মারধর করে। পরে তাকে পুলিশের সামনে হাজির করা হয়।

মামলার অভিযোগ নিয়ে যখন মেয়েটির বাবা থানায় পৌঁছেছিল, তখন তার সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। মেয়েটির বাবার উপর পুলিশ উল্টে দাদাগিরি দেখায়। মামলা দায়ের না করে পলিশ মারধর শুরু করে। ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আক্রোশ তৈরি হয়। একইসাথে পলিশের দাদাগিরিতেও স্থানীয় লোকজন প্রচন্ড আক্রোশ প্রকাশ করেন। এখন মূল অভিযুক্ত আদিল, যে দলিত মেয়েকে গণধর্ষণ করেছিলেন, পুলিশ এনকাউন্টার চলাকালীন তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ এনকাউন্টারে গ্যাংরেপের মূল আসামির উভয় পায়ে গুলি করেছে।

আদিলও এই গণধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করেছিল। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্ত মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে অভিযুক্তদের অনুসন্ধান তীব্র করা হয়েছিল। ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত আদিল বাইক নিয়ে পিপরি এলাকায় কোথাও যাচ্ছিল। এর পরে পুলিশ অবরোধ করে তাকে ধরার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে যে সে গুলি চালিয়েছে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়ে আদিলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আদিলের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিস্তল ও বাইক পেয়েছে। আদিলকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

একজন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আরো একজনকে ধরার জন্য বা খবর দেওয়ার জন্য পুলিশ ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তবে পুলিশের ব্যাবহার ও তদন্ত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ মামলা উপর মহল অবধি পৌঁছানোর পর পুলিশ সক্রিয় কার্যবাহী শুরু করে। তার আগে পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের উপরেই দাদাগিরি করে। ইংরেজ আমলে পুলিশকে নিযুক্ত করা হতো জনগণকে অত্যাচার করার জন্য।  কিন্তু এখন পুলিশ থাকে জনগণের সেবার জন্য। তবে কিছু পুলিশকর্মী সম্ভবত তাদের দায়িত্ব ভুল যায় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।

সম্পর্কিত খবর