খেলতে খেলতে আস্ত সাপকেই চিবিয়ে ফেলল ৩ বছরের শিশু! তারপরে যা ঘটল জেনে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে “রাখে হরি, মারে কে?” এবার এই বাগধারাকেই ফের একবার সত্য প্রমাণ করল একটি ঘটনা। এমনিতেই সাপকে ভয় পাননা এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। এই সরীসৃপকে দেখলেই ঘুম উড়ে যায় অনেকের। তবে, এবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক শিশু এমন কান্ড ঘটিয়েছে যেটি জানার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের।

   

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই শিশুটি একটি সাপকেই কামড়ে চিবিয়ে ফেলে। এমনকি, সাপটি মারাও যায়। তবে, শিশুটির শরীরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের মহম্মদবাদের মদনাপুর গ্রামে। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।

সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান তাঁরা। এমতাবস্থায়, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, আপাতত শিশুটি ভালো আছে। উল্লেখ্য যে, ওই শিশুটির নাম হল আয়ুষ। জানা গেছে, আয়ুষ বাড়ির উঠোনে খেলতে খেলতে হঠাৎই একটি সাপ দেখতে পায়। সেই সময়ে সে সাপটিকে ধরে সটান মুখে ভরে চিবোতে শুরু করে।

মুখ থেকে সাপ টেনে বের করেন মা: এই প্রসঙ্গে আয়ুষের বাবা দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, আচমকাই আয়ুষের দিদা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আয়ুষের মা সুনিতা দেবীকে ডেকে আনেন। এরপর সুনিতা দেবী আয়ুষের মুখ থেকে সাপটি বের করেন। তার মুখে লেগেছিল সাপের রক্তও। আয়ুষের মুখ জল দিয়ে পরিষ্কার করাও হয়।

এরপরই সাপের বিষ শিশুটির শরীরের চলে গিয়েছে কি না এই বিষয়ে তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি, তাকে দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও, চিকিৎসকেরা যাতে সাপটিকে শনাক্ত করতে পারেন সেই কারণে একটি পলিথিনে ওই মৃত সাপটিকেও নিয়ে আসা হয়।

এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের চিকিৎসক মহম্মদ সেলিম আনসারি জানিয়েছেন, শিশুটিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তার কোনো সমস্যা হয়নি। এরপর তাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পাঠানো হয়। খুব সম্ভবত সাপটি বিষধর ছিল না। তবে, এই পুরো ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। পাশাপাশি, কোনো বড় বিপদ না ঘটায় ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যরা ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ জানান।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর