বাংলা হান্ট ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার পথ আটকে দাঁড়াল বায়ু। সারা দক্ষিণবঙ্গ তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে,অপেক্ষা করছে বর্ষার। কেরলে বর্ষা আসায় আশাবাদী হয়ে উঠেছিল দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এবার সব আশায় জল ঢেলে দিল ঘূর্ণিঝড় বায়ু। গত ৪ই মে ওড়িশা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার কথা ছিল ঘূর্ণিঝড় ফনীর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তো আসেনি বরং সব জলীয় বাষ্প শুষে নিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় চলে যায় বাংলাদেশে। তখন থেকেই শুরু হয় টানা গরম। মধ্যে বেশ কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও বর্ষার দেখা মেলেনি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত বায়ুর প্রভাব থাকবে। যতক্ষণ না এর পুরো প্রভাব কাটছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারব না যে কবে বর্ষা আসবে বাংলায়। যতদিন এর প্রভাব থাকবে, ততদিন এ আদ্র এবং তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জেলা এবং কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে।কারণ সমস্ত জলীয় বাষ্প ও বায়ু শুষে নিয়েছে প্রভাব পড়ছে এখানে।’
কেরলে বর্ষা ঢোকে ৮ই জুন। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরেই। একের পর এক বাধা পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে কখন বর্ষা আসে এখন সেটাই দেখার।