বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটি দুটি নয় প্রায় ২ লক্ষ বই একেবারে গায়েব! কি করে? এবার তারই উত্তর খুঁজতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন গ্রামবাসীরা। একেবারে সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুল বা স্কুলের এএসআইয়ের অফিস থেকে চুরি গিয়েছিল রাজ্যের পড়ুয়াদের পাঠ্যবই। দু’বছর আগের ওই মামলায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে একেবারেই খুশি নন গ্রামবাসীরা। সেবার উত্তর দিনাজপুরে ইসলামপুরের স্কুলগুলির এসআই অফিস থেকে প্রায় ২ লক্ষ বই চুরি হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এই মামলার বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রামবাসীরা
দেখতে দেখতে এই ঘটনার দু’বছর কেটে গেলেও পুলিশের তদন্ত যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার আসল অপরাধীদের ধরার দাবি নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুল বা স্কুলের এসআই অফিস থেকে প্রায় ২ লক্ষ বই চুরির অভিযোগ উঠেছিল।
এই বিষয়টি নিয়েই ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্ত নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেন। তবে গ্রেফতারের কয়েকদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান ধৃতরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ বই চুরির ওই ঘটনার তদন্ত ঠিকমতো করেনি। তাছাড়া এতদিনে তদন্তেও কোন গতি নেই। তাই গ্রামবাসীদের দাবি এই মামলায় পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছিল তারা আসল অপরাধীই নয়।
আরও পড়ুন: পয়লা তারিখেই বিরাট সুখবর! মোদি সরকারের ঘোষণায় বড় স্বস্তি
মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিশ এদের ধরেছিল। আর শেষমেষ প্রমাণের অভাবে এই অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যান। জানা যাচ্ছে, ওই চুরি যাওয়া ২ লক্ষ বইয়ের মূল্য আনুমানিক মূল্য তিন কোটি টাকা। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ওই সমস্ত বই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে স্কুল পরিদর্শকদের অফিসে যায় সেখান থেকেই বইগুলি এসআই অফিসে পাঠানো হয়। জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলি সেই অফিস থেকে বই সংগ্রহ করে তারপর তা বিনামূল্যে পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করে দেয়।
সেই বই এসআই অফিস থেকে চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায় গ্রামবাসীদের আবেদন ঘটনার তদন্ত সিবিআই কিংবা সিআইডির মত কোন নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে করাতে হবে। ইতিমধ্যেই সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে।