অভিনব চুরি! মহিলাকে বোকা বানিয়ে একদম সামনে থেকেই স্কুটি নিয়ে পালাল চোর, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে “চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড় ধরা”। কিন্তু, বর্তমানের স্মার্টযুগে কোথাও যেন এই বাগধারাই এখন বিপদে পড়েছে! তার কারণ অবশ্য একটাই, CCTV ক্যামেরা।

চুরির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে শহর হোক কিংবা বড় আবাসন সমস্ত জায়গাতেই এখন CCTV-র ব্যবহার বাড়ছে। তবে শুধুমাত্র চুরিই নয়, পাশাপাশি অপরাধের পর অধরাধীদের খুঁজতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, তাও কি কমছে চুরির ঘটনা? মনে তো হয় না।

কারণ, বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা প্রায় CCTV-তে ফুটে ওঠা চুরির দৃশ্য দেখতে পাই। যা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পৌঁছে যায় সকলের কাছে। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি মহিলার স্কুটি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে চুরি করে পালাচ্ছে একটি চোর!

আর সম্পূর্ণ চুরির ঘটনাটি ধরা পড়েছে রাস্তার ধারে থাকা এক CCTV ক্যামেরাতে। ওই ভিডিওটি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন আপনিও! শুধু তাই নয়, আজকালকার স্মার্ট চোরেরা তালা ভাঙা বা লুকিয়ে চুরির পরিবর্তে কিভাবে যে চোখের সামনেই চুরি করে পালাবে, তা একপ্রকার “ধরতেই পারবেন না”!

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, রাস্তার ধারে একটি স্কুটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নজর পড়ে চোরের। কাছে গিয়ে স্কুটিতে চাবি দেওয়া আছে কিনা তা দেখেও নেয় সে। তারপরেই মাথা থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে সাইলেন্সারের মধ্যে গুঁজে দেয় সেটি। যাতে স্কুটিটি স্টার্ট দিলেও চালু না হয়।

তারপরেই অবশ্য সেখান থেকে চলে যায় চোর। পরে স্কুটির মালকিন হাজির হয়ে স্কুটিতে স্টার্ট দিতে গেলে সাইলেন্সারের মুখে রুমাল ঢুকে থাকার জন্য কিছুতেই স্টার্ট হয়নি স্কুটিটি। পরে সাহায্য করার অছিলায় এগিয়ে আসে ওই চোর। মহিলাটি রাজি হতেই প্রথমে গাড়ি চেকিংয়ের ভান করতে থাকে সে।

এরপর ওই মহিলা একটু অন্যমনস্ক হয়ে ফোনে কথা বলতে গেলেই সাইলেন্সারের মুখ থেকে রুমাল খুলে ফেলে তৎক্ষণাৎ স্কুটিটি স্টার্ট দিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় বুদ্ধিমান ওই চোর। স্কুটি চুরির এই ঘটনাটিই বর্তমানে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে বাকিদেরকে সতর্কও করেছেন। তবে, দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে এমন চুরি দেখে অবাকও হয়েছেন সকলে!

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর