পুলিশ অফিসার হয়ে নিজের স্কুলে পৌঁছলেন ছাত্র! শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে পেলেন পুরস্কারও, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাই চান যে তাঁদের পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে জীবনে সফলতা লাভ করতে পারে। আর এজন্য পড়ুয়াদের পেছনে পরিশ্রমও করেন তাঁরা। কারণ, ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যে গর্বিত হন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পাশাপাশি, পূর্ণতা পায় তাঁদের সেই পরিশ্রম। আর যুগের পর যুগ ধরে এভাবেই বজায় রয়েছে শিক্ষক-পড়ুয়াদের এই চিরকালীন সম্পর্ক।

পাশাপাশি, জীবনে বড় কিছু হাসিল করার পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও মনে রাখেন সবাই। এমনকি, নিজের স্কুল তথা শিক্ষাক্ষেত্রকেও ভুলতে পারেন না কেউই! সম্প্রতি এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে ছাত্রের সাফল্যে রীতিমত গর্বিত হয়েছেন এক শিক্ষিকা। পাশাপাশি, পুলিশ অফিসার হয়েই নিজের স্কুলে এসে শিক্ষিকাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে ভোলেনি ওই ছাত্রও। আর এই মন ভালো করা ভিডিওটিই বর্তমানে ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে।

পুলিশ অফিসার হয়েই স্কুলে আসেন এক ব্যক্তি:
মূলত, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি স্কুলের ক্লাসের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষিকাও। যিনি বাকি পড়ুয়াদের কাছে ওই পুলিশ অফিসারের পরিচয় দেন। এমতাবস্থায়, তাঁর পরিচয় পেয়ে আনন্দিত হয় পড়ুয়ারাও।

শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষিকা তাঁর পুরোনো ছাত্রের এহেন সফলতা দেখে তাঁকে বাহবা জানিয়ে বাকি পড়ুয়াদের কাছে অত্যন্ত গর্বের সুরে জানান যে, “এই ছাত্র শুধু দেশের নামই উজ্জ্বল করেনি, পাশাপাশি সমাজ ও তাঁর পিতামাতার জন্যও খ্যাতি এনে দিয়েছে। তোমাদেরকেও এমন হতে হবে এবং সম্মানও মিলবে।”

এছাড়াও, ওই পুলিশ অফিসার পা ছুঁয়ে প্রণাম জানান তাঁর শিক্ষিকাকে। এমতাবস্থায়, সেই ছাত্রকে ১,১০০ টাকা পুরস্কার বাবদ তুলে দেন ওই শিক্ষিকা। এদিকে, এই মন ভালো করা ভিডিওটিই এখন ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি সুনীল বোরা স্যার নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত এই ভিডিওটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শকসংখ্যা। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন এটি। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন অনেকে। পাশাপাশি, নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “গুরুর স্থান সবসময় সর্বোচ্চ হয়।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর