Viral Video- বামপন্থীদের আড্ডাখানা টুইটার, কোনও বাক স্বাধীনতা নেই! বিস্ফোরক কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না Twitter-কে। এলন মাস্কের Twitter অধিগ্রহণ স্থগিত হওয়ার পরে কোম্পানির এক সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সিরু মুরুগেসান নামের এই টুইটার ইঞ্জিনিয়ারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে সিরু তুলে ধরেছেন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ভিডিয়োতে একটি রেস্টুরেন্টে এক মহিলার সঙ্গে কথোপকথনের সময় সিরু মুরুগেসান একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ‘Twitter বাক স্বাধীনতাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ।’ তার কথায়, তিনি কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার পর দেখতে পারেন যে, কোম্পানি একটি বামপন্থীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এলন মাস্কের Twitter অধিগ্রহণের সঙ্গেই বহু কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার রিপোর্ট সামনে এসেছিল। এই পরিস্থিতিতে সিরু মুরুগেসানের এই ভিডিয়ো নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এলন মাস্ক অবশ্য জানিয়েছেন, বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতেই টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে সিরু মুরুগেসান জানিয়েছেন, তাঁর বেশিরভাগ সহকর্মী এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে ঘৃণা করেন। সহকর্মীরা কীভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জানতে চাইলে সিরু বলেন, “এই ঘটনা সত্যি হলে সেই দিনই চাকরি ছাড়তে পারেন অনেকে।” তিনি জানিয়েছেন, টুইটার অফিসের পরিস্থিতি এতটাই বাম ঘেঁষা যে, তাঁর জীবনের ভাবনাকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। ‘আমি টুইটারে কাজ শুরু করার পরে একজন বামপন্থীতে পরিণত হয়েছি।’

কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের মতে, ‘আমাদের চাকরি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।’ ‘উনি একজন পুঁজিবাদী। সেই ভাবধারা মেনেই কাজ করবেন। আমরা এতদিন সমাজতান্ত্রিক ভাবনায় কাজ চালিয়ে এসেছি। কোম্পানির সব কর্মী চরম বামপন্থী।’ টুইটার শুধুই দক্ষিণ পন্থী পোস্ট নিষিদ্ধ করে। বামপন্থী পোস্টের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না,’ জানিয়েছেন সিরু মুরুগেসান। এলন মাস্কও একাধিকবার টুইটারের বিরুদ্ধে বামপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগ তুলছিলেন। ইতিমধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টিভ ব্যাননের মতো দক্ষিণ পন্থী ব্যক্তিত্বদের প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর