রেগে গেলে মিসাইল ছোঁড়ে এই গাছ, বোমার মতো বিস্ফোরিত হয় এর বীজ! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি সময়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনে ক্রমাগত গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রাশিয়া। এমতাবস্থায়, কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। এদিকে, শুধু যে মানুষই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে তা নয়, পাল্লা দিয়ে উদ্ভিদজগতেও এর খোঁজ পাওয়া যায়।

শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটাই কিন্তু সত্যি! আজ আমরা আপনাকে এমন একটি উদ্ভিদ সম্পর্কে জানাবো যেটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পাশাপাশি বোমার মতো বিস্ফোরণ ঘটাতেও সক্ষম। অবিশ্বাস্য শোনালেও আপনার মতো আমরাও অবাক হয়েছিলাম এই গাছের ভিডিও দেখে।

IFS অফিসার সুশান্ত নন্দা তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই গাছটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে নেটমাধ্যমে। এই গাছের ভিডিও দেখে আপনারও চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। জেনে অবাক হবেন যে, এই উদ্ভিদটি তার লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশ্যে “ক্ষেপণাস্ত্র” ছুঁড়তে পারে। অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের ওই গাছটির নাম হল Wood Sorrel plant। এই গাছটি কার্যত ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমেই হামলা চালাতে সক্ষম।

জানা গিয়েছে যে, Wood Sorrel গাছটিকে কেউ আঘাত করলেই সেটি এভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। পাশাপাশি, স্পর্শ করার চেষ্টা করলেই এটি রেগে যায়। তারপরেই শুরু হয় বিস্ফোরণ। কেউ জ্বালাতন করার সাথে সাথে এই গাছের বীজ কার্যত বোমায় পরিণত হয় এবং যে ব্যক্তি এটি স্পর্শ করে তার উপর তা নিক্ষেপিত হয়। এই গাছটি বিশেষত ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকোতে সর্বাধিক দেখা যায়।

এছাড়াও, বিশ্বের বেশিরভাগ অংশেই অল্প-বিস্তর পরিমাণে পাওয়া যায় এই গাছ। যখন এই উদ্ভিদটি আক্রমণ শুরু করে, তখন এটির বীজ প্রায় ৪ মিটার দূর পর্যন্ত নিক্ষেপিত হয়। জানা গিয়েছে যে, এই উদ্ভিদের বীজগুলি তাদের সঞ্চিত চাপ শক্তির কারণে তীব্র গতিতে বিস্ফারিত হতে সক্ষম। যে বস্তুটি এটিকে উদ্দীপিত করে সেই বস্তুটিকে লক্ষ্য করেই এই আক্রমণ ঘটে। এরপরে, বীজগুলি কার্যত বোমার আকারে নিক্ষেপিত হয়। এই দৃশ্য সত্যিই দেখার মত।

এদিকে, এই ভিডিওটি নেটমাধ্যমে আসার পরই তা দ্রুতগতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, নেটিজেনরা প্ৰতিক্রিয়াও দিতে থাকেন ভিডিওটি দেখে। মোট ১৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি অবাক করে দিয়েছে সকলকে। একটি উদ্ভিদের এইরকম আক্রমণের দৃশ্য যে সত্যিই বিরল তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর