টাইমলাইনআন্তর্জাতিক

সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়ে খুঁজে পেলেন এমন প্রাণী, রাতারাতি বদলে গেল ভাগ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে এমন অনেক রহস্য যার উদ্ঘাটন হওয়া এখনও বাকি। গভীর সমুদ্রে বসবাস করে এমন বহু প্রাণী যাদের ব্যাপারে মানুষ তেমন কিছুই জানে না। মাঝে মধ্যে সৈকতে দেখতে পাওয়া যায় তাদের। মানুষও আবার এমন অনেক সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে থাকে যেগুলি দেখতে অদ্ভুত। এমনই এক অদ্ভুত দেখতে প্রাণীর খোঁজ পাওয়া গেল যা মানুষের খাদ্য।

crockex

অবসরপ্রাপ্ত সেলস ম্যানেজার ডেভ ম্যাকগার্ড নিজের পোষা কুকুরের সঙ্গে হাঁটতে গিয়েছিলেন সমুদ্র সৈকতে। ওয়েলসের ক্রিক্টিন বিচে হাটতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই তিনি দেখতে পান ‘অদ্ভুত’ কিছু জিনিস একটি গাছের সঙ্গে লেগে রয়েছে। কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে সেগুলি জীবিত। ২০ ফিট লম্বা একটি গাছের সঙ্গে লেগে ছিল সেগুলি।

ওই প্রাণীগুলির সাদা রঙের খোলস ছিল। এমন প্রাণী দেখে সেগুলির ছবি তুলে রেখেছিলেন ডেভ। বাড়ি গিয়ে এগুলির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে চক্ষু চরকগাছ হয়ে ওঠে তাঁর। তিনি জানতে পারেন, ওই প্রাণীগুলি বিক্রি করলে ৫ লক্ষ টাকা পেতে পারেন তিনি! আরও জানতে পারেন, এই প্রাণী সহজে ধরা পড়েনা। অত্যন্ত বিরল প্রাণী এগুলি। 

Gooseneck Barnacle

ডেভ যে প্রাণীগুলি দেখেছিলেন সেই প্রজাতির নাম gooseneck barnacles। মনে করা হয়, এই প্রাণীগুলি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আট হাজার টাকা কিলো দরে এগুলি বিক্রি হয় বাজারে। খুবই বিরল এই প্রজাতির বার্নাকেল গুলি বিভিন্ন দেশে খাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষত স্পেন ও পর্তুগালে এই প্রাণীগুলি খাওয়া হয়ে থাকে। সেখানে ৩০ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয় এগুলি।

একটি রিপোর্টের দাবি, এক একটি বার্নাকেল ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। ডেভ যে পরিমাণে বার্নাকেল দেখেছিলেন, সেগুলি তিনি অনায়াসে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারতেন। এই প্রাণীটি যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা বলেছেন যে এগুলি অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো খেতে হয়। একইসঙ্গে এগুলি অনেকটা অক্টোপাসের মতো।

Barnacles

ডেভ এগুলির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক নেটিজেন কমেন্ট করেন, ‘এলিয়েনরা এসে গিয়েছে।’ অনেকে আবার তাঁকে সেগুলি সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও ডেভ এগুলি সংগ্রহ করার পক্ষে নন। তিনি বলেছেন, এগুলিকে দেখতে ছোট অক্টোপাসের মতো।

তিনি আরও জানান, এই প্রাণীর মাংস তিনি আগেও খাননি ও পরেও খেতে চান না। ডেভ বলেন, এই ছবিটি তোলার পর তিনি স্নোডোনিয়াতে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ভাবতেও পারেননি তাঁর তোলা এই ছবিটি এত ভাইরাল হবে। কারণ তিনি জানতেন না যে এই প্রাণীটি এত বিরল।  

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker